মঙ্গলবার, ৬ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

নতুন সম্ভাবনার স্বপ্ন দেখাচ্ছে বাল্লা স্থলবন্দর

জাকারিয়া চৌধুরী, হবিগঞ্জ

নতুন সম্ভাবনার স্বপ্ন দেখাচ্ছে বাল্লা স্থলবন্দর

দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে অবস্থিত বাল্লা স্থলবন্দর নির্মাণকাজ। কাজ দ্রুত এগিয়ে চলায় ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনার স্বপ্ন দেখছেন ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়াও স্থলবন্দরকে ঘিরে অর্থনৈতিক মুক্তির পাশাপাশি ওই এলাকায় কর্মচাঞ্চল্যের দেখা দেবে সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানের এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের। স্থানীয়রা বলছেন, স্থলবন্দরটি চালু হলে শুধু হবিগঞ্জবাসীই নয়, বৈদেশিক বাণিজ্যে যেমন এগিয়ে যাবে দেশ তেমনি যুক্ত হবে নতুন এক অধ্যায়ের। স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ইতোমধ্যে বন্দরের প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এ মাসের শেষের দিকেই উদ্বোধন হতে পারে। এদিকে, স্থলবন্দর নির্মাণেরকাজ শেষের দিকে থাকলেও এখনো ভূমি অধিগ্রহণের টাকা বুঝে পাননি বেশ কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্ত। জেলা প্রশাসন বলছে, কাগজপত্র সঠিক না থাকায় এবং নিজেদের মধ্যে মামলা-মোকদ্দমা চলায় টাকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আইনি জটিলতা শেষ হলেই প্রত্যেককে তাদের পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া হবে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় ৪ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাল্লা স্থলবন্দরের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর। স্থলবন্দর নির্মাণের জন্য প্রাথমিকভাবে ৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যার জন্য কেদারাকোট এলাকায় অধিগ্রহণ করা হয় ১৩ একর ভূমি। কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৯০ শতাংশেরও বেশি কাজ সম্পন্ন করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। দেয়ালে আস্তর দেওয়াসহ করা হচ্ছে রং। কর্তৃপক্ষের আশা এ মাসের শেষের দিকেই পুরো কাজ সম্পন্ন করে উদ্বোধন করা হতে পারে এই স্থলবন্দরটির। হবিগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট মিজানুর রহমান শামীম জানান, বাল্লা স্থলবন্দরটি হবিগঞ্জবাসীর স্বপ্ন। দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে। এতে ব্যবসায়ীরা আনন্দিত। তিনি বলেন, এটি চালু হলে একদিকে যেমন ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে অন্যদিকে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জিত হবে। এ বিষয়ে বাল্লা স্থলবন্দরের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আবুল খায়ের জানান, বাল্লা স্থলবন্দরের নির্মাণকাজ ইতোমধ্যে ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজটুকু এ মাসের মধ্যেই সম্পন্ন হবে। এ মাসের শেষের দিকে অথবা আগামী মাসের প্রথমেই বাল্লা স্থলবন্দরটি উদ্বোধন হতে পারে। তিনি বলেন, এটা যেহেতু ভারত বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নির্মিত হচ্ছে তাই ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর হবে। হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলেন, স্থলবন্দরটি চালু হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে। তিনি বলেন, যারা এখনো ভূমি অধিগ্রহণের টাকা পায়নি আইনি জটিলতা শেষে হলেই তাদের তাদের পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া হবে। ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা ব্যাংকে জমা রয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৩০ মার্চ বাল্লাকে দেশের ২৩তম স্থলবন্দর ঘোষণা করেন তৎকালীন  নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর