নীলফামারীর সৈয়দপুরে ঝড়ে পড়া সরকারি শতাধিক গাছের সদ্গতি হয়নি তিন মাসেও। এরই মধ্যে গাছের ডালপালা রাতে দুর্বৃত্তরা চুরি করে নিয়ে গেছে। পড়ে আছে শুধু গাছের বড় বড় কাণ্ড। এসব বনজ বৃক্ষের দাম বর্তমান বাজারমূল্যে কোটি টাকার কাছাকাছি। ওইসব গাছ উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের বুদ্ধির বাজার থেকে উত্তর সোনাখুলীর ডাঙ্গাপাড়া মোড় পর্যন্ত এলজিইডির (স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর) সড়কের দুই পাশে ছিল। ৩ কিলোমিটার রাস্তার দুই পাশে সহস্রাধিক মূল্যবান গাছ ছিল। ঝড়ের তাণ্ডবে গাছগুলো উপড়ে পড়ে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় সরকারের অধীনে ইউনিয়ন পরিষদ রাস্তার পাশে গাছগুলো রোপণ করে।
নির্মল অক্সিজেন সরবরাহ ও পথচারীদের সুশীতল ছায়া দিতেই গাছগুলো লাগানোর লক্ষ্য ছিল। গাছগুলোর বয়স ৩০ বছরের কাছাকাছি। বনজ ও ফলদ গাছ মিলিয়েই পল্লীর এই সড়কের দুই ধারে গাছগুলো লাগানো হয়। স্থানীয় মানুষের পরিচর্যায় গাছগুলো হৃষ্টপুষ্ট হয়।
এলাকাবাসীর মতে, উপড়ে পড়ে যাওয়া গাছগুলো সরকারি বিধিবিধান মতে নিলাম দরপত্র আহ্বান করে তা বিক্রি করা হলে সরকারি কোষাগারে অর্থ জমা হতো। আর গাছ কেটে সরানোর জায়গায় লাগানো যেতে পারে ফের বৃক্ষ। অথচ ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের কাউকেই এ ব্যাপারে উদ্যোগী ভূমিকা নিতে দেখা যাচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে গাছগুলো জনহীন জায়গায় পড়ে থাকলে অপরাধী চক্র রাতের আঁধারে তা কেটে নিয়ে যেতে পারে। এলাকার সচেতন মানুষ আইনি প্রক্রিয়া অবলম্বন করে ঝড়ে পড়ে যাওয়া গাছগুলো বিক্রির ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানতে চাইলে বোতলাগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সরকার মুঠোফোনে বলেন, গাছগুলো কেটে এক জায়গায় করে পরে তা নিলামে বিক্রি করা হবে।