পানি কমতে শুরু করায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা নদীতে ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন নদী তীরবর্তী হাজারো মানুষ। ওইসব এলাকার দুই শতাধিক বাড়ি-ঘর, স্কুল, কলেজ ও ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন আতঙ্কে অনেকেই বাড়িঘর নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, নদী ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিলে অনেকের জমি-সম্পদ রক্ষা পাবে। স্থানীয়রা জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়ন ও শিবগঞ্জ উপজেলার পাকায় প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পদ্মা নদীতে তীব্র ভাঙন চলছে। ইতোমধ্যে এ দুটি ইউনিয়নের এক-তৃতীয়াংশের ফসলি জমি পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নদী তীরবর্তী এলাকার বাড়ি-ঘর, স্কুল, কলেজ নদীগর্ভে চলে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র, ইউনিয়ন পরিষদ, কমিউনিটি ক্লিনিক, স্থানীয় বাজারসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এতে বেশি বিপাকে পড়েছে চরাঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষ। তারা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। অনেকেই ভাঙন আতঙ্কে বাড়িঘর সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আবার নিজের জায়গা জমি না থাকায় অন্যের জায়গা ভাড়া নিয়ে থাকতে হচ্ছে অনেককেই। এলাকাবাসী মনে করছেন দ্রুত সময়ের মধ্যে পদ্মা নদীতে বাঁধ দিলে এ ইউনিয়নের হাজারো মানুষের বাড়ি ঘর ও ফসলি জমি রক্ষা পাবে।
নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজির হোসেন জানান, নদী ভাঙন রোধে বিভিন্ন জায়গায় আবেদন করলেও তা কোনো কাজে আসেনি। নদী ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে গোটা ইউনিয়নের চিহ্ন অচিরেই মুছে যাবে বলে মনে করেন তিনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আরিফুর রহমান অঙ্কন জানান, ভাঙনকবলিত এলাকায় জরুরি কাজ শুরু হয়েছে। স্থায়ী বাঁধের জন্য প্রকল্প চেয়ে ঊর্ধ্বতন মহলে আবেদন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান বলেন, ভাঙন কবলিত মানুষের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। প্রসঙ্গত, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নারায়ণপুর ও পাকা ইউনিয়নে পদ্মা নদীর ভাঙন চলছে ২০১৮ সাল থেকে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কার্যত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।