বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের পটুয়াখালী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের কাছে সড়কের পাশেই ময়লা-আবর্জনা স্তূপ। আবর্জনা পচে গলে আবার রোদে শুকিয়ে দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পর্যটকসহ এলাকাবাসী। স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে আশপাশের বাসিন্দা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও পথচারীরা। জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র বাস টার্মিনালের ৪০০ মিটার দূরত্বে পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের পাশে রাতের আঁধারে ফেলা হচ্ছে পৌরসভার ময়লা। পাশেই আবাসিক এলাকা, মসজিদ, মাদরাসা, প্রাথমিক বিদ্যালয়, পল্লীবিদ্যুৎ অফিস, ব্র্যাক অফিস, মোটরসাইকেলের একাধিক শো-রুমসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। একটু সামনেই বাধঘাট বাজার। আবর্জনা থেকে বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে আশপাশের এলাকায়। চলাচলরত যাত্রী, কুয়াকাটাগামী পর্যটকসহ এলাকার মানুষ, শিক্ষার্থী ও আশপাশের বসতবাড়ি বাসিন্দাদের নাভিশ্বাস উঠেছে। পেট্রল পাম্পে তেল নিতে পরিবহন থামালে হঠাৎ দুর্গন্ধে টিকতে পারেন না যাত্রীরা। ময়লার কারণে মশা-মাছির উপদ্রব বাড়ছে পুরো এলাকায়। এলাকাবাসী জানান, কতবার প্রতিবাদ করেছি কোনো প্রতিকার মেলেনি। কী আর করার এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকতে হয়। রাতের আঁধারে এগুলো ফেলে যায়। রুপালি ফিলিং স্টেশনের কর্মী শাকিল বলেন, পাম্পের পাশেই ময়লা ফেলা হচ্ছে। গন্ধে থাকা যায় না। চালকরা বলেন, তোমাদের পাম্প থেকে আর তেল নেওয়া যাবে না। ওই এলাকার ব্যবসায়ী জিয়া জানান, কিছু দিন ধরে এখানে পৌরসভার গাড়িতে রাতে আবর্জনা ফেলে স্তূপ করছে। দুর্গন্ধে দোকান করা যায় না। ব্যবসায়ী আনসার উদ্দিন জানান, ময়লা-আবর্জনা ফেলতে নিষেধ করলেও কেউ শোনে না।
কালিকাপুর সালেহিয়া দাখিল মাদরাসার ছাত্রী মারিয়া ইসলাম দোলা বলে, মাদরাসায় আসার সময় দূর থেকেই নাক চাপতে হয়। প্রায় হাফ কিলোমিটারে অনেক দুর্গন্ধ থাকে। নবম শ্রেণির ছাত্র নেছার উদ্দিন জানান, আমার বাসা ময়লা ফেলার স্থানের কাছেই। বাসায় সারা দিন দুর্গন্ধ সহ্য করতে হয়। মাদরাসার সহসুপার মাওলানা নজরুল ইসলাম জানান, মহাসড়কের পাশে উন্মুক্ত স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলায় দুর্গন্ধে পথচারীদের অনেক ভোগান্তী হয়। এর প্রতিকার হওয়া উচিত। আমরা এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করব, যাতে তারা নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা রাখে। পটুয়াখালী পৌরসভার প্রশাসক ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক জুয়েল রানা বলেন, মহাসড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলার বিষয়টি তিনি জানেন না। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন। তবে আমাদের ডাম্পিং স্টেশন আছে। বৃষ্টি হলে একটু অসুবিধা হয়।