ভাঙ্গায় রাতের আঁধারে তিনজনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। গুরুতর আহত তিনজনকে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় ইয়াছিন খালাসী (১৯) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। ইয়াছিন ভাঙ্গা উপজেলার থানমাত্তা গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর খালাসীর ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার রাতে। ইয়াছিন রাজমিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন।
এলাকাবাসী জানান, থানমাত্তা গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুটি পক্ষের বিরোধ রয়েছে। একপক্ষের নেতৃত্ব দেন ভুলু খদকার। অপরপক্ষে আছেন বাদশা শরীফ। অতীতে বিভিন্ন সময়ে তাদের সংঘাত-সংঘর্ষ হয়েছে। নিহত ইয়াছিনের বাবা জাহাঙ্গীর খালাসী ভুলু খন্দকারের পক্ষের লোক। পরিবারের অভিযোগ প্রতিপক্ষই এ হত্যার জন্য দায়ী। খুনের ঘটনার পর গতকাল গ্রামের ৫-৬টি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে। থানমাত্তা গ্রামের কয়েকজন জানান, রাত ১০টার দিকে খালের ব্রিজের ওপর বসে গল্প করছিলেন ইয়াছিন খালাসী, একই গ্রামের রায়হান শেখ ও এলাকায় বেড়াতে আসা শাকিব মাতুব্বর। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ৮-১০ জন লোক ধারালো অস্ত্র নিয়ে এসে তিনজনকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোক এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। জাহাঙ্গীর খালাসী বলেন, ‘বাদশা শরীফের নির্দেশেই তার লোকজন আমার ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।’ ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সহকারী আক্তার হোসেন বলেন, তিনজনের শরীরেই একাধিক জায়গায় কোপের চিহ্ন রয়েছে। একজনের পেটের নাড়িভূরি বের হয়ে গেছে। ভাঙ্গা থানার ওসি আশরাফ হোসেন বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে ঘটনা ঘটতে পারে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।