মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস গ্রামের এক বাঁশবাগানে ছোট্ট একটা খুপরি ঘর। ওপরে কয়েকটি জরাজীর্ণ টিন, যার ফাঁক দিয়ে আসে রোদ-বৃষ্টি। এ ঘরেই ১৬ বছর ধরে একাকী দিন কাটছে অসহায় বৃদ্ধা মুগলি খাতুনের। না আছে নিজের জমি, না আছে কোনো স্বজনের আশ্রয়। সংসারের জিনিস বলতে কয়েকটি পুরোনো ঘটিবাটি আর ছেঁড়া কাপড়। এক সময়ে অন্যের বাড়িতে কাজ করে যা আয় হতো, তা দিয়েই ছোট ভাইদের মানুষ করেছেন। এখন তার শরীর চলে না। যে ছোট ভাইদের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন তারা কেউ খবর নেয় না মুগলির। বাবার ভিটায়ও জায়গা হয়নি। বয়স এখন ৭০ ছুঁই ছুঁই। শীর্ণ শরীর নিয়ে বেঁচে আছেন পরের জায়গায়, পরের দয়ায়। মুগলি খাতুন বলেন, ‘দীর্ঘদিন আমি একাই আছি। প্রায় ৫০ বছর আগে স্বামী মারা গেছেন।
ইউএনও পলাশ মণ্ডল জানান, তাকে অতিরিক্ত সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। প্রশাসন সব সময় অসহায় মানুষের পাশে আছে।