নোয়াখালীর সেনবাগ থানা পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় আজ বুধবার সেনবাগ উপজেলা যুবলীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে আজ কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। এর মধ্যে আছেন উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক জাকারিয়া আল মামুন, যুবলীগ কর্মী তারেক, আল আমিন, কামাল। পুলিশের দায়ের করা একটি মামলায় আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
গত ৫ আগস্ট নোয়াখালীর সেনবাগ থানা পুলিশের এএসআই মো. আমিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ উপজেলা পরিষদের সামনে কাগজপত্রবিহীন (অবৈধ) মোটরসাইকেল আটক করছিল। এসময় পুলিশ যুবলীগ কর্মী তারেকের এক আত্মীয়ের কাগজপত্রবিহীন একটি মোটরসাইকেল আটক করে। খবর পেয়ে তারেক ছুটে আসে । এ সময় পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু করে সে। এক পর্যায়ে মোটরসাইকেল ছেড়ে দেওয়ার জন্য পুলিশকে হুমকি দেয়। পরে পুলিশ মোটরসাইকেল ফেরত না দিলে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক জাকারিয়া আল মামুন, যুবলীগ কর্মী তারেক, আল আমিন ও কামালের নেতৃত্বে অতর্কিতভাবে কনস্টেবল ড্রাইভার মো. মামুনকে (৩৫) এলোপাতাড়ি কিলঘুঁশি মেরে রক্তাক্তভাবে জখম করে। পরে সঙ্গী পুলিশ তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সেনবাগ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে ঘটনার পর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ সার্কেলের এএসপি সিকদার হাছান ইমাম ও সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনা সর্ম্পকে অবহিত হন। পরে এ ব্যপারে পুলিশ বাদী হয়ে সেনবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
বিডি-প্রতিদিন /২৮ অক্টোবর ২০১৫/শরীফ