সম্প্রতি উখিয়ার বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া এক শ্রেণীর প্রভাবশালী অসাধু চক্র ফুটবল টুর্নামেন্টের নামে গণহারে চাদাঁবাজি শুর’ করেছে। এতে আইনশৃংখলাসহ উপজেলার সার্বিক বিষয়ে অবনতি ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। বিপথগামী হচ্ছে ছাত্র সমাজ। বর্তমানে চলছে জেএসসি, জেডিসি পরীক্ষা এবং ২২ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা। এসব পরীক্ষার্থীরা তাদের পড়ালেখা বাদ দিয়ে ফুটবল খেলা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে বলে অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন।
উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি বছর যে পরিমাণ ফুটবল খেলা উখিয়ায় আয়োজন হয়েছে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এ সংখ্যক খেলা উপজেলায় হয়নি। তবে এটি একটি ভালো উদ্যোগ আখ্যায়িত করে অনেকে খেলার আয়োজকদের সাধুবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু পাশাপাশি সচেতন মহল দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, একটি ফুটবল টুর্নামেন্ট শেষ করতে হলে ২০-৩০ হাজার টাকা প্রয়োজন। যা আয়োজক কমিটি ম্যানেজ করে থাকে। এখন তা না করে কতিপয় আয়োজক কমিটির লোকজন গণহারে চাঁদাবাজি শুর’ করেছে। এমনকি তাদের দাবীকৃত চাঁদা দিতে অপারগ হলে উল্টো লোকজনকে বিভিন্ন মামলা, হামলার ভয়ভীতি দেখা হচ্ছে। পাইন্যাশিয়া গ্রামের বেলাল উদ্দিন বেলাল উদ্দিন বলেন, ‘তার এক প্রতিবেশীর নিকট থেকে নাম সর্বস্ব ফুটবল কমিটির সদস্য ২ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করলে সে পাঁচশ’ টাকা দেয়। ওই টাকা কম হওয়ার কথা বলে তার নিকট থেকে পকেট ব্যাক, মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এতে সে প্রতিবাদ করায় তার পরিবারের ৬ সদস্যের বির’দ্ধে উখিয়া থানায় একটি অভিযোগ করেছে। এ নিয়ে বর্তমানে কোটবাজার এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ ধরনের আরো ঘটনা অহরহ ঘটছে উখিয়ার সর্বত্র
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘খেলাধুলা হচ্ছে পড়ালেখার একটি অংশ। তবে কোনো কারণে যদি ছাত্রদের পড়ালেখার ব্যাঘাত ঘটে তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’
বিডি-প্রতিদিন/২০ নভেম্বর ২০১৫/শরীফ