শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫

ফিলিস্তিন নিয়ে কি পারমাণবিক যুদ্ধ বাধবে

সুমন পালিত
প্রিন্ট ভার্সন
ফিলিস্তিন নিয়ে কি পারমাণবিক যুদ্ধ বাধবে

আজ ১৪  মে, মানবজাতির ইতিহাসের এক কলঙ্কিত দিন। এই দিনে মধ্যপ্রাচ্যের বুকে বিষফোড়ার মতো আত্মপ্রকাশ করেছিল ইসরায়েল নামের এক দেশ। ইহুদিরা যে দেশটিকে তাদের জাতি ও ধর্মরাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করে। দুনিয়ার যে প্রান্তেই তারা বসবাস করুক না কেন, ইসরায়েলের জন্য অবদান রাখাকে তারা ধর্মীয় কর্তব্য বলে ভাবে। রাষ্ট্র হিসেবে ক্ষুদ্র হলেও সারা দুনিয়ার ইহুদিদের মদতে প্রভাব-প্রতিপত্তির দিক থেকে এ দেশটি সমীহ পাওয়ার যোগ্য। প্রযুক্তিগত দিক থেকে ইসরায়েল যে কোনো ইউরোপীয় রাষ্ট্রকেও চ্যালেঞ্জ দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।

মানব সভ্যতার বিকাশে ইহুদিদের অবদান অনন্য। আল্লাহ এক ও  সর্বশক্তিমান- এ তত্ত্বের ভিত্তিতে গড়ে ওঠে ইহুদি ধর্ম। মানবজাতির জন্য আইনকানুন প্রণয়নেও তাদের অবদান অনস্বীকার্য। তবে ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থ তাওরাত বা বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্টে অবিশ্বস্ত জাতি হিসেবে তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। বারবার তারা মহান আল্লাহর হুকুম লঙ্ঘন করে বিপথগামী হয়েছে। এজন্য কঠোর শাস্তিও দেওয়া হয়েছে সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে। ইহুদিদের সুপথে আনতে তাদের মধ্যে একের পর এক নবীর আগমন ঘটেছে। আল্লাহ ইহুদিদের সুপথে পরিচালিত করতে তাদের কাছে পাঠান সর্বশেষ এক পবিত্র পুরুষকে। নাম তাঁর হজরত ঈসা (আ.) বা যিশুখ্রিস্ট। ইহুদি সমাজপতিরা যিশুখ্রিস্টের আবির্ভাবকে নিজেদের কায়েমী স্বার্থের জন্য হুমকি বলে ভাবে। ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় তারা। যিশুর বিরুদ্ধে ধর্ম ও রাষ্ট্রদ্রোহের মিথ্যা অভিযোগ আনা হয় রোমান গভর্নর পিলাতের কাছে। খ্রিস্টানদের বিশ্বাস, ইহুদিদের অন্যায় আবদারে ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যা করা হয় ওই মহাপুরুষকে।

ইহুদিরা যিশুখ্রিস্টের মানব মুক্তির মতবাদকে প্রতিহত করতে যে অন্যায় পথ বেছে নেয়,  তা  তাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। যিশুর জন্মস্থান ফিলিস্তিন শুধু নয়, চারদিকে তাঁর ধর্মমতের বিস্তৃতি ঘটে দ্রুতবেগে। ৭০ খ্রিস্টাব্দে রোমান সম্রাট টাইটাস জেরুজালেম ধ্বংস করেন। ইহুদিদের একাংশকে হত্যা করেন নির্মমভাবে। আরেক অংশকে  দাস হিসেবে নিয়ে যান নিজের দেশে। যেসব ইহুদি পালিয়ে প্রাণে বাঁচে, তারাও টিকে থাকতে পারেনি পবিত্র জেরুজালেম তথা ফিলিস্তিনে। তারা পালিয়ে যায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। সেসব দেশে খ্রিস্টধর্ম প্রচারের পর ইহুদিদের দেখা হতো ঘৃণার চোখে। যিশুখ্রিস্টের হত্যাকারী হিসেবে। ১৯০০ বছর ধরে ইহুদিরা ছিল বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত ধর্মীয় গোষ্ঠী। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে হিটলার যে ইহুদি হত্যাযজ্ঞ চালায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে তা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না। ৬০ লাখ ইহুদি হত্যার পেছনে ছিল ইহুদিদের প্রতি খ্রিস্টানদের সহজাত ঘৃণার প্রকাশ।

ইসরায়েল দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের চার দশকেরও বেশি আগে ১৮৯৬ সালে থিউডোর হারজল নামের একজন ইহুদি সাংবাদিক ও আইনবিদ ইহুদিবাদের তত্ত্ব প্রচার শুরু করেন। বিশ্ব ইহুদি কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে তিনি প্রচার করেন ইহুদিদের জন্য একটি আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া তাদের মুক্তি নেই। সে রাষ্ট্রের জন্য তিনি আফ্রিকার উগান্ডাকে পছন্দ করেন।  কিন্তু উগান্ডাবাসীর তীব্র আপত্তির মুখে সেখানে ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। এরপর সম্ভাব্য ইহুদি রাষ্ট্রের স্থান হিসেবে পছন্দ করা হয় ফিলিস্তিনকে। যে ভূখণ্ডটি ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থে কেনান নামে পরিচিত। ইহুদিদের বিশ্বাস, এটি তাদের জন্য ঈশ্বরপ্রদত্ত পবিত্র ভূমি।

শত শত বছর ধরে ফিলিস্তিন ছিল তুরস্কের অটোমান সাম্রাজ্যের অধীনে। অটোমান সাম্রাজ্য ছিল প্রথম মহাযুদ্ধের আগে এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপ মহাদেশের বিরাট অংশজুড়ে। সব আরব দেশ ছিল তাদের অধীনে। ইউরোপের খ্রিস্টান দেশগুলোতে ইহুদিরা নির্যাতিত হলেও অটোমান সাম্রাজ্যে তারা নির্বিঘ্নে বসবাস করার সুযোগ পেত। বিশ্ব ইহুদি কংগ্রেস বিভিন্ন দেশের ইহুদিদের ফিলিস্তিনে যেতে উদ্বুদ্ধ করে। ফিলিস্তিনিরাও তাদের দেশে ইহুদিদের আগমনকে বাঁকা চোখে দেখেনি। আগে থেকেই ফিলিস্তিনের ৪ শতাংশ অধিবাসী ছিল ইহুদি। খ্রিস্টান শাসনামলে ইহুদিরা ফিলিস্তিনে নির্যাতনের সম্মুখীন হলেও মুসলিম শাসনাধীনে ৫০০ বছর ধরে শান্তিপূর্ণ জীবনই কাটিয়েছে তারা।

প্রথম মহাযুদ্ধে তুরস্ক যোগ দেয় জার্মানি, অস্ট্রিয়া, ইতালি ও হাঙ্গেরির সমন্বয়ে গঠিত যুদ্ধ জোটে। এর বিপরীতে ছিল ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন যুদ্ধ জোট। প্রথম মহাযুদ্ধে তুরস্ক চরমভাবে পরাজিত হয়। ব্রিটিশ ও ফরাসি বাহিনীর কাছে চলে যায় মধ্যপ্রাচ্যের নিয়ন্ত্রণ। জেরুজালেম বা ফিলিস্তিন ব্রিটিশদের দখলে আসে।

প্রথম মহাযুদ্ধে মিত্র বাহিনীর জয়ের পেছনে ইহুদিদের প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সহায়তার ভূমিকা ছিল ব্যাপক। ১৯১৭ সালে বিশিষ্ট ইহুদি ব্যাংক ব্যবসায়ী লাইনেল ওয়াল্টার রথ চাইল্ডের কাছে চিঠি লেখেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্ল বেলফোর। তাতে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন তুরস্কের অটোমান সম্রাটের কাছ থেকে ফিলিস্তিন দখল করতে পারলে সেখানে ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। তার আগেই ব্রিটিশরা ফরাসিদের সঙ্গে ফিলিস্তিনের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে চুক্তিবদ্ধ হয়। তাতে বলা হয়, ফিলিস্তিন থাকবে ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণে।

প্রথম মহাযুদ্ধের পর থেকে ফিলিস্তিন ব্রিটিশদের অধীনে থাকলেও তারা ইহুদিদের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে তাড়াহুড়া করেনি। ১৯৩৭ সালে রড পিলের নেতৃত্বাধীন কমিশন ফিলিস্তিন ভাগ করে ইহুদি ও আরবদের জন্য দুটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করে। পরে উড হিড কমিশন রড পিল কমিশনের রিপোর্টে সংশোধন এনে যে প্রস্তাব দেয়, তা ব্রিটিশ সরকার গ্রহণ করে। তবে ব্রিটিশ সরকার সিদ্ধান্ত নেয় সংঘাত এড়াতে ইউরোপ থেকে বছরে ৭৫ হাজারের বেশি ইহুদি ফিলিস্তিনে বসতি গাড়তে পারবে না। তবে ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনে বিপুলসংখ্যক ইহুদির আগমন ঘটায় তা ফিলিস্তিনি আরবদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। তারা স্বদেশে পরবাসী হয়ে পড়ার শঙ্কায় ভুগতে থাকে। ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠারও বিরোধিতা করে ফিলিস্তিনিরা।

১৯৩৯ সালে শুরু হয় দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ। এ মহাযুদ্ধের একপক্ষে ছিল জার্মান, ইতালি, অস্ট্রিয়া ও জাপানের নেতৃত্বে যুদ্ধ জোট। এর বিপরীতে ছিল ইংল্যান্ড ফ্রান্স রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন যুদ্ধ জোট। মহাযুদ্ধ শুরুর পর ইউরোপে জার্মানির আগ্রাসনে একের পর এক দেশের পতন ঘটতে থাকে। একই সঙ্গে চলে ইহুদি হত্যা। জার্মানরা মনে করত, প্রথম মহাযুদ্ধে তাদের পরাজয়ের জন্য ইহুদিরাই দায়ী। জার্মান বাহিনীর হাতে ৬০ লাখ ইহুদি প্রাণ হারায়। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে জার্মান-জাপান যুদ্ধজোট পরাজিত হয় নিজেদের শক্তিমত্তা সম্পর্কে অতি আত্মবিশ্বাসের কারণে। জাপান আমেরিকান স্থাপনায় হামলা চালিয়ে প্রকারান্তরে তাদের যুদ্ধে নামতে বাধ্য করে। জাপান পারমাণবিক বোমা ফেলে যুক্তরাষ্ট্র জাপানিদের যুদ্ধস্পৃহা স্তব্ধ করে দেয়। তার আগে জার্মান নেতা হিটলার রাশিয়ায় সামরিক অভিযান চালিয়ে নিজেদের কবর রচনার পথ বেছে নেয়। যুদ্ধে নয়, রাশিয়ার প্রচণ্ড শীতের কাছে পরাজিত হয় জার্মান বাহিনী। হিটলারের জার্মানির পাশাপাশি জাপানও আণবিক বোমার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়।

দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে গণহত্যার কারণে বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মানুষের সহানুভূতি অর্জন করে ইহুদিরা। এ সহানুভূতি ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার তাগিদ সৃষ্টি করে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর ১৯৪৭ সালের নভেম্বরে জাতিসংঘ ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইহুদিদের জন্য ৫৫ ভাগ ও আরবদের জন্য ৪৩ ভাগ স্থানে দুটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব নেয়। প্রস্তাবে মুসলমান, খ্রিস্টান ও ইহুদিদের কাছে পবিত্র নগরী হিসেবে পরিচিত জেরুজালেমকে আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে রাখার কথা বলা হয়। যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স এমনকি সোভিয়েত ইউনিয়নসহ ৩৩টি দেশ জাতিসংঘ প্রস্তাবে সমর্থন জানায়। ভারত, বিভিন্ন আরব দেশসহ ১৩টি দেশ এই অন্যায় সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে। সবচেয়ে লজ্জাজনক ছিল ধর্মের ভিত্তিতে ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সোভিয়েত ইউনিয়নের সমর্থন। কারণ নীতিগতভাবেই তারা ধর্মীয় রাষ্ট্রতত্ত্বের বিরোধী। এটি অক্টোবর বিপ্লবেরও পরিপন্থি। যদিও তারা তাদের ভুল থেকে সরে এসে অচিরেই ফিলিস্তিনিদের বন্ধুর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়।

জাতিসংঘে প্রস্তাব পাসের ছয় মাস পর ১৯৪৮ সালের ১৫ মে ফিলিস্তিনের ওপর ব্রিটিশ ম্যান্ডেট শেষ হওয়ার মাত্র আট ঘণ্টা আগে ইহুদিবাদী নেতা ডেভিড বেন গুরিয়েন ইসরায়েলের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। জাতিসংঘের প্রস্তাবে ফিলিস্তিনে ইহুদি ও আদিবাসী ফিলিস্তিনিদের জন্য পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলা হলেও তারা এজন্য বিশ্ব সংস্থা কবে উদ্যোগ নেবে, সে অপেক্ষায় থাকেনি। স্বভাবতই এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় বিভিন্ন আরব দেশ। ইসরায়েলের স্বাধীনতার পরদিনই তারা যুদ্ধ ঘোষণা করে ইহুদি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। সে যুদ্ধে ইসরায়েল বাহিনীকে ঘেরাও করেও আরব দেশগুলো সে জয় ভোগ করতে পারেনি। জাতিসংঘের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব তারা গ্রহণ করে ইংল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের চাপে। নির্বোধের মতো তারা আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে। এদিকে ইসরায়েল ইউরোপ থেকে উন্নত অস্ত্র এনে পাল্টা হামলা চালায়। ফিলিস্তিনিদের জন্য জাতিসংঘের বরাদ্দ এলাকার বড় অংশ তাদের দখলে চলে যায়। ১৯৬৭ সালে মিসর, সিরিয়া ও জর্ডান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে ছয় দিনেই পরাজিত হয়। সিরিয়ার গোলান মালভূমি, মিসরের সিনাই ও গাজা এবং জর্ডানের কাছ থেকে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম ইহুদি রাষ্ট্রের দখলে চলে যায়। ১৯৭৩ সালে মিসর ও সিরিয়া ইয়ম কিপুর নামের যুদ্ধে  রাজতন্ত্রী আরব দেশগুলোর বিশ্বাসঘাতকতায় হেরে যায়। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরবদের যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের সর্বনাশই শুধু নিশ্চিত হয়েছে। ইসরায়েল এ যাবৎ যেটুকু পিছু হটেছে সে কৃতিত্ব ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থাসহ  বিভিন্ন লড়াকু সংগঠনের। ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বে ফিলিস্তিনি গণ অভ্যুত্থানে একপর্যায়ে ইসরায়েল শান্তিপূর্ণ সমাধানে রাজি হয়।

১৯৯৩ সালে স্বাক্ষরিত হয় অসলো শান্তি চুক্তি। নরওয়ের সমঝোতায় প্রতিষ্ঠিত এ শান্তি চুক্তিতে ইসরায়েলের পাশাপাশি সশাসিত ফিলিস্তিন প্রশাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় ঐকমত্য। ১৯৯৪ সালের মে মাসে ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয় ফিলিস্তিনি প্রশাসন। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পথে এটিকে একটি অগ্রযাত্রা বলে ভাবা হতো। কিন্তু শান্তির এই প্রচেষ্টা নস্যাৎ করতে উঠে পড়ে লাগে শান্তির শত্রুরা। ইহুদি উগ্রবাদীরা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী প্রধানমন্ত্রী আইজ্যাক রবিনকে হত্যা করে ১৯৯৫ সালের ৪ নভেম্বর। একই সঙ্গে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনি চরমপন্থিদের উসকে দেওয়া হয়। ফিলিস্তিনিরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে শান্তি চুক্তিকে কেন্দ্র করে। আরাফাতের নেতৃত্ব চ্যালেঞ্জ করে গাজায় প্রতিষ্ঠিত হয় উগ্র মতের সংগঠন হামাসের কর্তৃত্ব। গাজা থেকে ইসরায়েলে হামলার জবাবে কয়েক গুণ পাল্টা হামলা চালাবার অজুহাত পায় তেল আবিবের ইহুদিবাদী শাসকরা। গাজায় দুই বছর ধরে যে ফিলিস্তিনি গণহত্যা চলছে, তাতে ৫৫ হাজার মানুষ  ইতোমধ্যে প্রাণ হারিয়েছে। আহতের সংখ্যা কয়েক লাখ। সাজানো গোছানো গাজা উপত্যকা এখন এক বিধ্বস্ত জনপদ।

ফিলিস্তিনিরা এ বছর তাদের পিতৃভূমি অপদখলের ৭৭তম বার্ষিকী পালন করছে। তারা এখন জাতিগত নিধনের শিকার। শক্তির বিচারে ইসরায়েল নিঃসন্দেহে শক্তিশালী। শুধু ফিলিস্তিন নয়, গোটা আরব দেশগুলোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারাই যে এগিয়ে থাকবে, তা এক প্রমাণিত সত্যি। এই দম্ভেই ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের দমনে যা ইচ্ছা তাই করে যাচ্ছে। আরব দেশগুলো তা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে। মুখে লোকদেখানো প্রতিবাদ করলেও, নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে গোপনে গাঁটছড়া বাঁধছে তেল আবিবের শাসকদের সঙ্গে।

সন্দেহ নেই ফিলিস্তিনিরা এখন কোণঠাসা অবস্থায়। তবে তাতে ইসরায়েলের উল্লসিত হওয়ার কিছু নেই। নিজেদের অস্তিত্বের স্বার্থেই ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে তাদের সমঝোতায়  উপনীত হতে হবে। বুঝতে হবে শক্তির বিচারে এগিয়ে থাকলেও এ সুদিন দীর্ঘস্থায়ী না-ও থাকতে পারে। প্রকাশ্যে স্বীকার না করলেও সবারই জানা ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যের  একমাত্র পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। কিন্তু স্মরণ  থাকা উচিত ইরানও পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণে এগিয়ে গেছে। তুরস্ক পারমাণবিক অস্ত্র শুধু নয়, সমর ক্ষেত্রে অনেক এগিয়েছে গত দুই দশকে। সর্বশেষ ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে পাকিস্তান চমক দেখিয়েছে তুর্কি সমরাস্ত্র ব্যবহার করে। ইসরায়েলি মানবতাবাদী পারমাণবিক বিজ্ঞানী মরডেকাই ভাননু ১৯৮৬ সালে ফাঁস করেন তেল আবিবের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র থাকার তথ্য। তিনি যুক্তরাজ্যে পালিয়ে গেলেও শাস্তি ঠেকাতে পারেননি। ইসরায়েল তার গোঁয়ার্তুমি অব্যাহত রাখলে হয়তো মধ্যপ্রাচ্য থেকেই শুরু হবে পারমাণবিক যুদ্ধ। মানব সমাজের জন্য ডেকে আনবে বিপর্যয়। সে পরিণতি না চাইলে জাতিসংঘসহ বিশ্ব সমাজকে স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠায় ইসরায়েলকে চাপ সৃষ্টি করতে হবে।

লেখক : সিনিয়র সহকারী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

ইমেইল :[email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
শ্রম সংস্কার
শ্রম সংস্কার
পুলিশ ও র‌্যাব পুনর্গঠন
পুলিশ ও র‌্যাব পুনর্গঠন
আত্মশুদ্ধির প্রয়োজনীয়তা
আত্মশুদ্ধির প্রয়োজনীয়তা
বাইতুল্লাহর মুসাফিরদের জন্য জরুরি নসিহত
বাইতুল্লাহর মুসাফিরদের জন্য জরুরি নসিহত
নতুন বিনিয়োগের গ্যারান্টি চাই
নতুন বিনিয়োগের গ্যারান্টি চাই
গরু চোরাচালান
গরু চোরাচালান
বিপর্যস্ত পুঁজিবাজার
বিপর্যস্ত পুঁজিবাজার
মুমিনের হজ
মুমিনের হজ
চুল নিয়ে চুলোচুলি
চুল নিয়ে চুলোচুলি
যোগ-বিয়োগের ধারাস্রোত
যোগ-বিয়োগের ধারাস্রোত
যুদ্ধবিরতি
যুদ্ধবিরতি
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ
সর্বশেষ খবর
পরিচিত সবজি পটলের আছে নানা স্বাস্থ্যগুণ
পরিচিত সবজি পটলের আছে নানা স্বাস্থ্যগুণ

এই মাত্র | জীবন ধারা

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রী খুনের অভিযোগ
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রী খুনের অভিযোগ

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

তিন সংস্করণে অভিন্ন প্রধান কোচের পথে হাঁটল দক্ষিণ আফ্রিকা
তিন সংস্করণে অভিন্ন প্রধান কোচের পথে হাঁটল দক্ষিণ আফ্রিকা

৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

৯ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে আপিলের রায় ১ জুন
জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে আপিলের রায় ১ জুন

১৭ মিনিট আগে | জাতীয়

চাঁপাইনবাবগঞ্জে অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
চাঁপাইনবাবগঞ্জে অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এনবিআর ভেঙে দুটি বিভাগ করার সিদ্ধান্ত সাহসী পদক্ষেপ: সেলিম রহমান
এনবিআর ভেঙে দুটি বিভাগ করার সিদ্ধান্ত সাহসী পদক্ষেপ: সেলিম রহমান

২২ মিনিট আগে | বাণিজ্য

‘এনবিআর কর্মকর্তাদের পদোন্নতির সুযোগ কমে যাওয়ার শঙ্কা আছে’
‘এনবিআর কর্মকর্তাদের পদোন্নতির সুযোগ কমে যাওয়ার শঙ্কা আছে’

২৫ মিনিট আগে | বাণিজ্য

ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে নগরভবনের সামনে বিক্ষোভ
ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে নগরভবনের সামনে বিক্ষোভ

২৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

তিন দাবিতে ‘লংমার্চ টু যমুনা’ অভিমুখে জবি শিক্ষার্থীরা
তিন দাবিতে ‘লংমার্চ টু যমুনা’ অভিমুখে জবি শিক্ষার্থীরা

৩৯ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

নাম্বার ওয়ান হতে চান মিরাজ
নাম্বার ওয়ান হতে চান মিরাজ

৪৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

নিখোঁজের ১২ ঘণ্টা পর দুই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
নিখোঁজের ১২ ঘণ্টা পর দুই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

৪৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

যুদ্ধবিরতির মধ্যেই পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কার ভারত-পাকিস্তানের
যুদ্ধবিরতির মধ্যেই পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কার ভারত-পাকিস্তানের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭ অঞ্চলে ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টির আভাস
৭ অঞ্চলে ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টির আভাস

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিনিয়োগ পরিবেশ তৈরির পরামর্শ ও সুপারিশ গ্রহণের লক্ষ্যে বিডা'র সভা
বিনিয়োগ পরিবেশ তৈরির পরামর্শ ও সুপারিশ গ্রহণের লক্ষ্যে বিডা'র সভা

১ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

বক্স অফিসে কত আয় করল অজয়ের ‘রেইড টু’?
বক্স অফিসে কত আয় করল অজয়ের ‘রেইড টু’?

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দুর্নীতি মামলায় জুবাইদা রহমানের জামিন, আপিল শুনানির জন্য গৃহীত
দুর্নীতি মামলায় জুবাইদা রহমানের জামিন, আপিল শুনানির জন্য গৃহীত

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে সারা দেশে ছাত্রদলের কর্মসূচি
সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে সারা দেশে ছাত্রদলের কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কানাডার নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠিত
কানাডার নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রাম বন্দর অর্থনীতির হৃদপিণ্ড: প্রধান উপদেষ্টা
চট্টগ্রাম বন্দর অর্থনীতির হৃদপিণ্ড: প্রধান উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বের ‘দরিদ্রতম প্রেসিডেন্ট’ হোসে মুজিকা আর নেই
বিশ্বের ‘দরিদ্রতম প্রেসিডেন্ট’ হোসে মুজিকা আর নেই

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বেনাপোল কাস্টমসে চলছে কর্মবিরতি
বেনাপোল কাস্টমসে চলছে কর্মবিরতি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় অন্তত ৫৬ ফিলিস্তিনি নিহত
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় অন্তত ৫৬ ফিলিস্তিনি নিহত

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গরমে শরীরে পানিশূন্যতা বাড়ায় যেসব খাবার
গরমে শরীরে পানিশূন্যতা বাড়ায় যেসব খাবার

২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

গাজায় বর্বরোচিত হামলা ইসরায়েলের, নিহত ৮১
গাজায় বর্বরোচিত হামলা ইসরায়েলের, নিহত ৮১

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা: ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রকে ৬০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার হুমকি দিল ইরান
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা: ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রকে ৬০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার হুমকি দিল ইরান

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অস্কারজয়ী পরিচালক রবার্ট বেন্টন মারা গেছেন
অস্কারজয়ী পরিচালক রবার্ট বেন্টন মারা গেছেন

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঢাবি ছাত্র সাম্য হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার করতে হবে: সাদা দল
ঢাবি ছাত্র সাম্য হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার করতে হবে: সাদা দল

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ নিয়ে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ নিয়ে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রাম পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা
চট্টগ্রাম পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিষয়ে নাক গলাতে চান না রাহুল গান্ধী
ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিষয়ে নাক গলাতে চান না রাহুল গান্ধী

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্দালিব পার্থের স্ত্রীকে বিদেশ যাত্রায় বাধা
আন্দালিব পার্থের স্ত্রীকে বিদেশ যাত্রায় বাধা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের ধাওয়া, দৌড়ে গারদে ঢুকলেন সাবেক এমপি মমতাজ
বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের ধাওয়া, দৌড়ে গারদে ঢুকলেন সাবেক এমপি মমতাজ

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চার দিনের রিমান্ডে মমতাজ
চার দিনের রিমান্ডে মমতাজ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ নিয়ে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ নিয়ে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এনবিআর ভাঙার কারণ জানাল সরকার
এনবিআর ভাঙার কারণ জানাল সরকার

১৮ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

রাশিয়ার কাছে এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চাইল ভারত
রাশিয়ার কাছে এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চাইল ভারত

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইশরাকের গেজেট: রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে না ইসি
ইশরাকের গেজেট: রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে না ইসি

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তানের প্রথম সেনা বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হলো
ভারত-পাকিস্তানের প্রথম সেনা বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হলো

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানে হামলা: কাশ্মীর নিয়ে নতুন করে কঠিন চাপে ভারত
পাকিস্তানে হামলা: কাশ্মীর নিয়ে নতুন করে কঠিন চাপে ভারত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্ত্রীকে কুপিয়ে দুই মেয়েকে আছাড়, শেষে নিজেই নিজের গলা কাটেন মামুন
স্ত্রীকে কুপিয়ে দুই মেয়েকে আছাড়, শেষে নিজেই নিজের গলা কাটেন মামুন

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা: ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রকে ৬০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার হুমকি দিল ইরান
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা: ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রকে ৬০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার হুমকি দিল ইরান

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারা ফেলেছে পঞ্চগড়ের লাল সোনা
সারা ফেলেছে পঞ্চগড়ের লাল সোনা

২০ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

কেমিক্যালমুক্ত আম চেনার উপায়
কেমিক্যালমুক্ত আম চেনার উপায়

৪ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

ফেসবুক লাইভেই গুলিতে নিহত মেয়র প্রার্থী
ফেসবুক লাইভেই গুলিতে নিহত মেয়র প্রার্থী

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘হাইকোর্টের রায়ে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল দেশের ইতিহাসে প্রথম’
‘হাইকোর্টের রায়ে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল দেশের ইতিহাসে প্রথম’

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আহত তটিনী, দুই দিনের বিশ্রামে ঢাকায়
আহত তটিনী, দুই দিনের বিশ্রামে ঢাকায়

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মমতাজের ৭ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ
মমতাজের ৭ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এনবিআর বিলুপ্তিতে কর্মকর্তাদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই: অর্থ উপদেষ্টা
এনবিআর বিলুপ্তিতে কর্মকর্তাদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই: অর্থ উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

ধার করে, টাকা ছাপিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন করবো না : অর্থ উপদেষ্টা
ধার করে, টাকা ছাপিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন করবো না : অর্থ উপদেষ্টা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় যা বললো ভারত
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় যা বললো ভারত

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাবি শিক্ষার্থী খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই হামলাকারী আটক
ঢাবি শিক্ষার্থী খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই হামলাকারী আটক

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

চিকিৎসকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন না ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা
চিকিৎসকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন না ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি আরবের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ১৪২ বিলিয়ন ডলারের সমরাস্ত্র চুক্তি সই
সৌদি আরবের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ১৪২ বিলিয়ন ডলারের সমরাস্ত্র চুক্তি সই

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুরো কাশ্মীরকেই নিজেদের ভূখণ্ড দাবি করল ভারত
পুরো কাশ্মীরকেই নিজেদের ভূখণ্ড দাবি করল ভারত

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকার মূল সড়কে কোনো রিকশা চলতে পারবে না : ডিএনসিসি প্রশাসক
ঢাকার মূল সড়কে কোনো রিকশা চলতে পারবে না : ডিএনসিসি প্রশাসক

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করব না: নেতানিয়াহু
গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করব না: নেতানিয়াহু

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মোদির ভাষণের কড়া প্রতিক্রিয়া জানাল পাকিস্তান
মোদির ভাষণের কড়া প্রতিক্রিয়া জানাল পাকিস্তান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঢাবির শিক্ষার্থী খুন
বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঢাবির শিক্ষার্থী খুন

১১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নিহত সাম্য আমাদের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ছাত্রনেতা: রাকিব
নিহত সাম্য আমাদের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ছাত্রনেতা: রাকিব

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
এহতেশামের নায়িকারা কে কোথায়?
এহতেশামের নায়িকারা কে কোথায়?

শোবিজ

কূপ খননে গতি আনতে রিগ কিনছে বাংলাদেশ
কূপ খননে গতি আনতে রিগ কিনছে বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

তরুণ ভোটারদের কাছে টানতে মাঠে বিএনপি
তরুণ ভোটারদের কাছে টানতে মাঠে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

আসনে আসনে সক্রিয় জামায়াত
আসনে আসনে সক্রিয় জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

তৃণমূলে শক্ত অবস্থান তৈরিতে হিমশিম এনসিপি
তৃণমূলে শক্ত অবস্থান তৈরিতে হিমশিম এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

রাজধানীতে অবৈধ রিকশা বন্ধে অভিযান
রাজধানীতে অবৈধ রিকশা বন্ধে অভিযান

প্রথম পৃষ্ঠা

বাণিজ্য আলোচনা বন্ধ তিন বছর
বাণিজ্য আলোচনা বন্ধ তিন বছর

পেছনের পৃষ্ঠা

বিদেশি বিনিয়োগেই পাল্টে যাবে বন্দর
বিদেশি বিনিয়োগেই পাল্টে যাবে বন্দর

নগর জীবন

এনামের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান
এনামের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

প্রথম পৃষ্ঠা

দুই ধাপে আমিরাত যাচ্ছে লিটন বাহিনী
দুই ধাপে আমিরাত যাচ্ছে লিটন বাহিনী

মাঠে ময়দানে

শনিবার থেকে আইপিএল পিএসএল
শনিবার থেকে আইপিএল পিএসএল

মাঠে ময়দানে

নতুন উচ্চতায় যেতে চায় ডেনিম শিল্প
নতুন উচ্চতায় যেতে চায় ডেনিম শিল্প

নগর জীবন

সরকারপ্রধান হিসেবে আজ প্রথম চট্টগ্রাম যাচ্ছেন ড. ইউনূস
সরকারপ্রধান হিসেবে আজ প্রথম চট্টগ্রাম যাচ্ছেন ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

কুয়েটে ফের বিক্ষোভ
কুয়েটে ফের বিক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রীকে বিদেশ যেতে বাধা
আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রীকে বিদেশ যেতে বাধা

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশে পাকিস্তানপন্থা বলতে কিছু নেই
দেশে পাকিস্তানপন্থা বলতে কিছু নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

পাঁচ সচিবকে অপসারণের দাবিতে সচিবালয়ে অবস্থান
পাঁচ সচিবকে অপসারণের দাবিতে সচিবালয়ে অবস্থান

প্রথম পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধে ভারতের উদ্বেগ
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধে ভারতের উদ্বেগ

প্রথম পৃষ্ঠা

আনুষ্কার আসল নায়ক কে?
আনুষ্কার আসল নায়ক কে?

শোবিজ

৭৮তম কান-এর চমক কারা
৭৮তম কান-এর চমক কারা

শোবিজ

ফাঁসির সাত আসামির সাজা কমে জেল
ফাঁসির সাত আসামির সাজা কমে জেল

প্রথম পৃষ্ঠা

উৎসবে বর্ষা
উৎসবে বর্ষা

শোবিজ

জমে উঠেছে চারের লড়াই
জমে উঠেছে চারের লড়াই

মাঠে ময়দানে

জুবাইদা রহমানকে বিলম্ব মার্জনা হাই কোর্টের
জুবাইদা রহমানকে বিলম্ব মার্জনা হাই কোর্টের

প্রথম পৃষ্ঠা

কৌশলী রাজনীতি জনগণ দেখতে চায় না
কৌশলী রাজনীতি জনগণ দেখতে চায় না

নগর জীবন

প্রিমিয়ার লিগের পথে হামজার দল
প্রিমিয়ার লিগের পথে হামজার দল

মাঠে ময়দানে

সামনে যুবাদলের সেমিফাইনাল
সামনে যুবাদলের সেমিফাইনাল

মাঠে ময়দানে

মানবিক করিডর নিয়ে জনগণ অন্ধকারে
মানবিক করিডর নিয়ে জনগণ অন্ধকারে

নগর জীবন

ইতালিয়ান ওপেনে দাপট দেখাচ্ছেন সাবালেঙ্কা
ইতালিয়ান ওপেনে দাপট দেখাচ্ছেন সাবালেঙ্কা

মাঠে ময়দানে