শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫

ফিলিস্তিন নিয়ে কি পারমাণবিক যুদ্ধ বাধবে

সুমন পালিত
প্রিন্ট ভার্সন
ফিলিস্তিন নিয়ে কি পারমাণবিক যুদ্ধ বাধবে

আজ ১৪  মে, মানবজাতির ইতিহাসের এক কলঙ্কিত দিন। এই দিনে মধ্যপ্রাচ্যের বুকে বিষফোড়ার মতো আত্মপ্রকাশ করেছিল ইসরায়েল নামের এক দেশ। ইহুদিরা যে দেশটিকে তাদের জাতি ও ধর্মরাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করে। দুনিয়ার যে প্রান্তেই তারা বসবাস করুক না কেন, ইসরায়েলের জন্য অবদান রাখাকে তারা ধর্মীয় কর্তব্য বলে ভাবে। রাষ্ট্র হিসেবে ক্ষুদ্র হলেও সারা দুনিয়ার ইহুদিদের মদতে প্রভাব-প্রতিপত্তির দিক থেকে এ দেশটি সমীহ পাওয়ার যোগ্য। প্রযুক্তিগত দিক থেকে ইসরায়েল যে কোনো ইউরোপীয় রাষ্ট্রকেও চ্যালেঞ্জ দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।

মানব সভ্যতার বিকাশে ইহুদিদের অবদান অনন্য। আল্লাহ এক ও  সর্বশক্তিমান- এ তত্ত্বের ভিত্তিতে গড়ে ওঠে ইহুদি ধর্ম। মানবজাতির জন্য আইনকানুন প্রণয়নেও তাদের অবদান অনস্বীকার্য। তবে ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থ তাওরাত বা বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্টে অবিশ্বস্ত জাতি হিসেবে তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। বারবার তারা মহান আল্লাহর হুকুম লঙ্ঘন করে বিপথগামী হয়েছে। এজন্য কঠোর শাস্তিও দেওয়া হয়েছে সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে। ইহুদিদের সুপথে আনতে তাদের মধ্যে একের পর এক নবীর আগমন ঘটেছে। আল্লাহ ইহুদিদের সুপথে পরিচালিত করতে তাদের কাছে পাঠান সর্বশেষ এক পবিত্র পুরুষকে। নাম তাঁর হজরত ঈসা (আ.) বা যিশুখ্রিস্ট। ইহুদি সমাজপতিরা যিশুখ্রিস্টের আবির্ভাবকে নিজেদের কায়েমী স্বার্থের জন্য হুমকি বলে ভাবে। ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় তারা। যিশুর বিরুদ্ধে ধর্ম ও রাষ্ট্রদ্রোহের মিথ্যা অভিযোগ আনা হয় রোমান গভর্নর পিলাতের কাছে। খ্রিস্টানদের বিশ্বাস, ইহুদিদের অন্যায় আবদারে ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যা করা হয় ওই মহাপুরুষকে।

ইহুদিরা যিশুখ্রিস্টের মানব মুক্তির মতবাদকে প্রতিহত করতে যে অন্যায় পথ বেছে নেয়,  তা  তাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। যিশুর জন্মস্থান ফিলিস্তিন শুধু নয়, চারদিকে তাঁর ধর্মমতের বিস্তৃতি ঘটে দ্রুতবেগে। ৭০ খ্রিস্টাব্দে রোমান সম্রাট টাইটাস জেরুজালেম ধ্বংস করেন। ইহুদিদের একাংশকে হত্যা করেন নির্মমভাবে। আরেক অংশকে  দাস হিসেবে নিয়ে যান নিজের দেশে। যেসব ইহুদি পালিয়ে প্রাণে বাঁচে, তারাও টিকে থাকতে পারেনি পবিত্র জেরুজালেম তথা ফিলিস্তিনে। তারা পালিয়ে যায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। সেসব দেশে খ্রিস্টধর্ম প্রচারের পর ইহুদিদের দেখা হতো ঘৃণার চোখে। যিশুখ্রিস্টের হত্যাকারী হিসেবে। ১৯০০ বছর ধরে ইহুদিরা ছিল বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত ধর্মীয় গোষ্ঠী। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে হিটলার যে ইহুদি হত্যাযজ্ঞ চালায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে তা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না। ৬০ লাখ ইহুদি হত্যার পেছনে ছিল ইহুদিদের প্রতি খ্রিস্টানদের সহজাত ঘৃণার প্রকাশ।

ইসরায়েল দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের চার দশকেরও বেশি আগে ১৮৯৬ সালে থিউডোর হারজল নামের একজন ইহুদি সাংবাদিক ও আইনবিদ ইহুদিবাদের তত্ত্ব প্রচার শুরু করেন। বিশ্ব ইহুদি কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে তিনি প্রচার করেন ইহুদিদের জন্য একটি আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া তাদের মুক্তি নেই। সে রাষ্ট্রের জন্য তিনি আফ্রিকার উগান্ডাকে পছন্দ করেন।  কিন্তু উগান্ডাবাসীর তীব্র আপত্তির মুখে সেখানে ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। এরপর সম্ভাব্য ইহুদি রাষ্ট্রের স্থান হিসেবে পছন্দ করা হয় ফিলিস্তিনকে। যে ভূখণ্ডটি ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থে কেনান নামে পরিচিত। ইহুদিদের বিশ্বাস, এটি তাদের জন্য ঈশ্বরপ্রদত্ত পবিত্র ভূমি।

শত শত বছর ধরে ফিলিস্তিন ছিল তুরস্কের অটোমান সাম্রাজ্যের অধীনে। অটোমান সাম্রাজ্য ছিল প্রথম মহাযুদ্ধের আগে এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপ মহাদেশের বিরাট অংশজুড়ে। সব আরব দেশ ছিল তাদের অধীনে। ইউরোপের খ্রিস্টান দেশগুলোতে ইহুদিরা নির্যাতিত হলেও অটোমান সাম্রাজ্যে তারা নির্বিঘ্নে বসবাস করার সুযোগ পেত। বিশ্ব ইহুদি কংগ্রেস বিভিন্ন দেশের ইহুদিদের ফিলিস্তিনে যেতে উদ্বুদ্ধ করে। ফিলিস্তিনিরাও তাদের দেশে ইহুদিদের আগমনকে বাঁকা চোখে দেখেনি। আগে থেকেই ফিলিস্তিনের ৪ শতাংশ অধিবাসী ছিল ইহুদি। খ্রিস্টান শাসনামলে ইহুদিরা ফিলিস্তিনে নির্যাতনের সম্মুখীন হলেও মুসলিম শাসনাধীনে ৫০০ বছর ধরে শান্তিপূর্ণ জীবনই কাটিয়েছে তারা।

প্রথম মহাযুদ্ধে তুরস্ক যোগ দেয় জার্মানি, অস্ট্রিয়া, ইতালি ও হাঙ্গেরির সমন্বয়ে গঠিত যুদ্ধ জোটে। এর বিপরীতে ছিল ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন যুদ্ধ জোট। প্রথম মহাযুদ্ধে তুরস্ক চরমভাবে পরাজিত হয়। ব্রিটিশ ও ফরাসি বাহিনীর কাছে চলে যায় মধ্যপ্রাচ্যের নিয়ন্ত্রণ। জেরুজালেম বা ফিলিস্তিন ব্রিটিশদের দখলে আসে।

প্রথম মহাযুদ্ধে মিত্র বাহিনীর জয়ের পেছনে ইহুদিদের প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সহায়তার ভূমিকা ছিল ব্যাপক। ১৯১৭ সালে বিশিষ্ট ইহুদি ব্যাংক ব্যবসায়ী লাইনেল ওয়াল্টার রথ চাইল্ডের কাছে চিঠি লেখেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্ল বেলফোর। তাতে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন তুরস্কের অটোমান সম্রাটের কাছ থেকে ফিলিস্তিন দখল করতে পারলে সেখানে ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। তার আগেই ব্রিটিশরা ফরাসিদের সঙ্গে ফিলিস্তিনের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে চুক্তিবদ্ধ হয়। তাতে বলা হয়, ফিলিস্তিন থাকবে ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণে।

প্রথম মহাযুদ্ধের পর থেকে ফিলিস্তিন ব্রিটিশদের অধীনে থাকলেও তারা ইহুদিদের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে তাড়াহুড়া করেনি। ১৯৩৭ সালে রড পিলের নেতৃত্বাধীন কমিশন ফিলিস্তিন ভাগ করে ইহুদি ও আরবদের জন্য দুটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করে। পরে উড হিড কমিশন রড পিল কমিশনের রিপোর্টে সংশোধন এনে যে প্রস্তাব দেয়, তা ব্রিটিশ সরকার গ্রহণ করে। তবে ব্রিটিশ সরকার সিদ্ধান্ত নেয় সংঘাত এড়াতে ইউরোপ থেকে বছরে ৭৫ হাজারের বেশি ইহুদি ফিলিস্তিনে বসতি গাড়তে পারবে না। তবে ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনে বিপুলসংখ্যক ইহুদির আগমন ঘটায় তা ফিলিস্তিনি আরবদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। তারা স্বদেশে পরবাসী হয়ে পড়ার শঙ্কায় ভুগতে থাকে। ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠারও বিরোধিতা করে ফিলিস্তিনিরা।

১৯৩৯ সালে শুরু হয় দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ। এ মহাযুদ্ধের একপক্ষে ছিল জার্মান, ইতালি, অস্ট্রিয়া ও জাপানের নেতৃত্বে যুদ্ধ জোট। এর বিপরীতে ছিল ইংল্যান্ড ফ্রান্স রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন যুদ্ধ জোট। মহাযুদ্ধ শুরুর পর ইউরোপে জার্মানির আগ্রাসনে একের পর এক দেশের পতন ঘটতে থাকে। একই সঙ্গে চলে ইহুদি হত্যা। জার্মানরা মনে করত, প্রথম মহাযুদ্ধে তাদের পরাজয়ের জন্য ইহুদিরাই দায়ী। জার্মান বাহিনীর হাতে ৬০ লাখ ইহুদি প্রাণ হারায়। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে জার্মান-জাপান যুদ্ধজোট পরাজিত হয় নিজেদের শক্তিমত্তা সম্পর্কে অতি আত্মবিশ্বাসের কারণে। জাপান আমেরিকান স্থাপনায় হামলা চালিয়ে প্রকারান্তরে তাদের যুদ্ধে নামতে বাধ্য করে। জাপান পারমাণবিক বোমা ফেলে যুক্তরাষ্ট্র জাপানিদের যুদ্ধস্পৃহা স্তব্ধ করে দেয়। তার আগে জার্মান নেতা হিটলার রাশিয়ায় সামরিক অভিযান চালিয়ে নিজেদের কবর রচনার পথ বেছে নেয়। যুদ্ধে নয়, রাশিয়ার প্রচণ্ড শীতের কাছে পরাজিত হয় জার্মান বাহিনী। হিটলারের জার্মানির পাশাপাশি জাপানও আণবিক বোমার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়।

দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে গণহত্যার কারণে বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মানুষের সহানুভূতি অর্জন করে ইহুদিরা। এ সহানুভূতি ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার তাগিদ সৃষ্টি করে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর ১৯৪৭ সালের নভেম্বরে জাতিসংঘ ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইহুদিদের জন্য ৫৫ ভাগ ও আরবদের জন্য ৪৩ ভাগ স্থানে দুটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব নেয়। প্রস্তাবে মুসলমান, খ্রিস্টান ও ইহুদিদের কাছে পবিত্র নগরী হিসেবে পরিচিত জেরুজালেমকে আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে রাখার কথা বলা হয়। যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স এমনকি সোভিয়েত ইউনিয়নসহ ৩৩টি দেশ জাতিসংঘ প্রস্তাবে সমর্থন জানায়। ভারত, বিভিন্ন আরব দেশসহ ১৩টি দেশ এই অন্যায় সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে। সবচেয়ে লজ্জাজনক ছিল ধর্মের ভিত্তিতে ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সোভিয়েত ইউনিয়নের সমর্থন। কারণ নীতিগতভাবেই তারা ধর্মীয় রাষ্ট্রতত্ত্বের বিরোধী। এটি অক্টোবর বিপ্লবেরও পরিপন্থি। যদিও তারা তাদের ভুল থেকে সরে এসে অচিরেই ফিলিস্তিনিদের বন্ধুর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়।

জাতিসংঘে প্রস্তাব পাসের ছয় মাস পর ১৯৪৮ সালের ১৫ মে ফিলিস্তিনের ওপর ব্রিটিশ ম্যান্ডেট শেষ হওয়ার মাত্র আট ঘণ্টা আগে ইহুদিবাদী নেতা ডেভিড বেন গুরিয়েন ইসরায়েলের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। জাতিসংঘের প্রস্তাবে ফিলিস্তিনে ইহুদি ও আদিবাসী ফিলিস্তিনিদের জন্য পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলা হলেও তারা এজন্য বিশ্ব সংস্থা কবে উদ্যোগ নেবে, সে অপেক্ষায় থাকেনি। স্বভাবতই এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় বিভিন্ন আরব দেশ। ইসরায়েলের স্বাধীনতার পরদিনই তারা যুদ্ধ ঘোষণা করে ইহুদি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। সে যুদ্ধে ইসরায়েল বাহিনীকে ঘেরাও করেও আরব দেশগুলো সে জয় ভোগ করতে পারেনি। জাতিসংঘের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব তারা গ্রহণ করে ইংল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের চাপে। নির্বোধের মতো তারা আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে। এদিকে ইসরায়েল ইউরোপ থেকে উন্নত অস্ত্র এনে পাল্টা হামলা চালায়। ফিলিস্তিনিদের জন্য জাতিসংঘের বরাদ্দ এলাকার বড় অংশ তাদের দখলে চলে যায়। ১৯৬৭ সালে মিসর, সিরিয়া ও জর্ডান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে ছয় দিনেই পরাজিত হয়। সিরিয়ার গোলান মালভূমি, মিসরের সিনাই ও গাজা এবং জর্ডানের কাছ থেকে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম ইহুদি রাষ্ট্রের দখলে চলে যায়। ১৯৭৩ সালে মিসর ও সিরিয়া ইয়ম কিপুর নামের যুদ্ধে  রাজতন্ত্রী আরব দেশগুলোর বিশ্বাসঘাতকতায় হেরে যায়। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরবদের যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের সর্বনাশই শুধু নিশ্চিত হয়েছে। ইসরায়েল এ যাবৎ যেটুকু পিছু হটেছে সে কৃতিত্ব ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থাসহ  বিভিন্ন লড়াকু সংগঠনের। ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বে ফিলিস্তিনি গণ অভ্যুত্থানে একপর্যায়ে ইসরায়েল শান্তিপূর্ণ সমাধানে রাজি হয়।

১৯৯৩ সালে স্বাক্ষরিত হয় অসলো শান্তি চুক্তি। নরওয়ের সমঝোতায় প্রতিষ্ঠিত এ শান্তি চুক্তিতে ইসরায়েলের পাশাপাশি সশাসিত ফিলিস্তিন প্রশাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় ঐকমত্য। ১৯৯৪ সালের মে মাসে ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয় ফিলিস্তিনি প্রশাসন। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পথে এটিকে একটি অগ্রযাত্রা বলে ভাবা হতো। কিন্তু শান্তির এই প্রচেষ্টা নস্যাৎ করতে উঠে পড়ে লাগে শান্তির শত্রুরা। ইহুদি উগ্রবাদীরা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী প্রধানমন্ত্রী আইজ্যাক রবিনকে হত্যা করে ১৯৯৫ সালের ৪ নভেম্বর। একই সঙ্গে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনি চরমপন্থিদের উসকে দেওয়া হয়। ফিলিস্তিনিরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে শান্তি চুক্তিকে কেন্দ্র করে। আরাফাতের নেতৃত্ব চ্যালেঞ্জ করে গাজায় প্রতিষ্ঠিত হয় উগ্র মতের সংগঠন হামাসের কর্তৃত্ব। গাজা থেকে ইসরায়েলে হামলার জবাবে কয়েক গুণ পাল্টা হামলা চালাবার অজুহাত পায় তেল আবিবের ইহুদিবাদী শাসকরা। গাজায় দুই বছর ধরে যে ফিলিস্তিনি গণহত্যা চলছে, তাতে ৫৫ হাজার মানুষ  ইতোমধ্যে প্রাণ হারিয়েছে। আহতের সংখ্যা কয়েক লাখ। সাজানো গোছানো গাজা উপত্যকা এখন এক বিধ্বস্ত জনপদ।

ফিলিস্তিনিরা এ বছর তাদের পিতৃভূমি অপদখলের ৭৭তম বার্ষিকী পালন করছে। তারা এখন জাতিগত নিধনের শিকার। শক্তির বিচারে ইসরায়েল নিঃসন্দেহে শক্তিশালী। শুধু ফিলিস্তিন নয়, গোটা আরব দেশগুলোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারাই যে এগিয়ে থাকবে, তা এক প্রমাণিত সত্যি। এই দম্ভেই ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের দমনে যা ইচ্ছা তাই করে যাচ্ছে। আরব দেশগুলো তা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে। মুখে লোকদেখানো প্রতিবাদ করলেও, নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে গোপনে গাঁটছড়া বাঁধছে তেল আবিবের শাসকদের সঙ্গে।

সন্দেহ নেই ফিলিস্তিনিরা এখন কোণঠাসা অবস্থায়। তবে তাতে ইসরায়েলের উল্লসিত হওয়ার কিছু নেই। নিজেদের অস্তিত্বের স্বার্থেই ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে তাদের সমঝোতায়  উপনীত হতে হবে। বুঝতে হবে শক্তির বিচারে এগিয়ে থাকলেও এ সুদিন দীর্ঘস্থায়ী না-ও থাকতে পারে। প্রকাশ্যে স্বীকার না করলেও সবারই জানা ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যের  একমাত্র পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। কিন্তু স্মরণ  থাকা উচিত ইরানও পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণে এগিয়ে গেছে। তুরস্ক পারমাণবিক অস্ত্র শুধু নয়, সমর ক্ষেত্রে অনেক এগিয়েছে গত দুই দশকে। সর্বশেষ ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে পাকিস্তান চমক দেখিয়েছে তুর্কি সমরাস্ত্র ব্যবহার করে। ইসরায়েলি মানবতাবাদী পারমাণবিক বিজ্ঞানী মরডেকাই ভাননু ১৯৮৬ সালে ফাঁস করেন তেল আবিবের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র থাকার তথ্য। তিনি যুক্তরাজ্যে পালিয়ে গেলেও শাস্তি ঠেকাতে পারেননি। ইসরায়েল তার গোঁয়ার্তুমি অব্যাহত রাখলে হয়তো মধ্যপ্রাচ্য থেকেই শুরু হবে পারমাণবিক যুদ্ধ। মানব সমাজের জন্য ডেকে আনবে বিপর্যয়। সে পরিণতি না চাইলে জাতিসংঘসহ বিশ্ব সমাজকে স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠায় ইসরায়েলকে চাপ সৃষ্টি করতে হবে।

লেখক : সিনিয়র সহকারী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

ইমেইল :[email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
জীবনজুড়ে স্রষ্টার করুণার ছায়া
জীবনজুড়ে স্রষ্টার করুণার ছায়া
সুরক্ষাসামগ্রীতেও সিন্ডিকেট
সুরক্ষাসামগ্রীতেও সিন্ডিকেট
মার্কিন হামলা
মার্কিন হামলা
নীতিতে অবিচল সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
নীতিতে অবিচল সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
সুপ্রাচীন ঐতিহ্যের ধারক নরসিংদী
সুপ্রাচীন ঐতিহ্যের ধারক নরসিংদী
সর্বনাশের বুলবুলি, দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি
সর্বনাশের বুলবুলি, দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি
মামলাজট
মামলাজট
চালের দামে দুশ্চিন্তা
চালের দামে দুশ্চিন্তা
ইলিশের একাল-সেকাল
ইলিশের একাল-সেকাল
আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি ভালোবাসা
আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি ভালোবাসা
সার্বিক সমৃদ্ধির সোপান
সার্বিক সমৃদ্ধির সোপান
ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা আসন্ন!
ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা আসন্ন!
সর্বশেষ খবর
ভোটার হলেন জুবাইদা রহমান
ভোটার হলেন জুবাইদা রহমান

৩ মিনিট আগে | জাতীয়

মুন্সিগঞ্জে ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার ৪
মুন্সিগঞ্জে ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার ৪

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দেশব্যাপী স্কাউটস কাব কার্নিভালের উদ্বোধন প্রধান উপদেষ্টার
দেশব্যাপী স্কাউটস কাব কার্নিভালের উদ্বোধন প্রধান উপদেষ্টার

৯ মিনিট আগে | জাতীয়

এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউনের’ ঘোষণা
এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউনের’ ঘোষণা

২০ মিনিট আগে | জাতীয়

ইরান থেকে ধেয়ে আসছে মিসাইলের বহর, ইসরায়েলজুড়ে সতর্কতা
ইরান থেকে ধেয়ে আসছে মিসাইলের বহর, ইসরায়েলজুড়ে সতর্কতা

২৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বগুড়ায় ছাত্রী সেজে শিক্ষক অপহরণ, মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার ২
বগুড়ায় ছাত্রী সেজে শিক্ষক অপহরণ, মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার ২

২৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে শুরু হলো ‘চীনা বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সপ্তাহ’
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে শুরু হলো ‘চীনা বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সপ্তাহ’

৩৫ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

চলে গেলেন ইংল্যান্ডের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটার লরেন্স
চলে গেলেন ইংল্যান্ডের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটার লরেন্স

৩৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

জয়পুরহাটে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কর্মশালা
জয়পুরহাটে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কর্মশালা

৩৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভালুকা মহিলাদলের সভাপতি শামীমা, সম্পাদক শারমিন
ভালুকা মহিলাদলের সভাপতি শামীমা, সম্পাদক শারমিন

৪৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

হরমুজ প্রণালী বন্ধের পথে ইরান, দুটি তেলবাহী জাহাজের ইউটার্ন
হরমুজ প্রণালী বন্ধের পথে ইরান, দুটি তেলবাহী জাহাজের ইউটার্ন

৫৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পেয়ারার পুষ্টিগুণ
পেয়ারার পুষ্টিগুণ

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

মাদারীপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলে ফল উৎসব, শিশুদের উচ্ছ্বাস
মাদারীপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলে ফল উৎসব, শিশুদের উচ্ছ্বাস

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

প্লান্টার ফাসাইটিস কী
প্লান্টার ফাসাইটিস কী

১ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

খুলেছে নগর ভবনের প্রধান ফটক, ভেতরে অবস্থান ইশরাক অনুসারীদের
খুলেছে নগর ভবনের প্রধান ফটক, ভেতরে অবস্থান ইশরাক অনুসারীদের

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘গুগল পে’ পেমেন্ট সেবার উদ্বোধন মঙ্গলবার
‘গুগল পে’ পেমেন্ট সেবার উদ্বোধন মঙ্গলবার

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ইরান কোথায় পাল্টা আঘাত হানতে পারে?
ইরান কোথায় পাল্টা আঘাত হানতে পারে?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাঁচ বিভাগে ভারি বর্ষণের আভাস
পাঁচ বিভাগে ভারি বর্ষণের আভাস

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিডনিতে বুয়েট অ্যালামনাইয়ের ‘বিগেস্ট মর্নিং টি’
সিডনিতে বুয়েট অ্যালামনাইয়ের ‘বিগেস্ট মর্নিং টি’

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

পাইরেসি নিয়ে শাকিবের কড়া বার্তা
পাইরেসি নিয়ে শাকিবের কড়া বার্তা

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাসুদ গ্রেফতার
ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাসুদ গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যেভাবে ‘পানিতে গুঁড়া হলুদ মেশানো’র ট্রেন্ডের শুরু সোশ্যাল মিডিয়ায়
যেভাবে ‘পানিতে গুঁড়া হলুদ মেশানো’র ট্রেন্ডের শুরু সোশ্যাল মিডিয়ায়

২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

‘সাবেক সিইসি নুরুল হুদার সঙ্গে যা হয়েছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়’
‘সাবেক সিইসি নুরুল হুদার সঙ্গে যা হয়েছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়’

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চমক রেখেই শ্রীলঙ্কা সিরিজের ওয়ানডে দল ঘোষণা বিসিবির
চমক রেখেই শ্রীলঙ্কা সিরিজের ওয়ানডে দল ঘোষণা বিসিবির

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিন গ্রেফতার
সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিন গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বেনাপোল কাস্টমস হাউসে ‘কলম বিরতি’ চলছে
বেনাপোল কাস্টমস হাউসে ‘কলম বিরতি’ চলছে

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিয়ানমার সীমান্তে ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার
মিয়ানমার সীমান্তে ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সেই ৯৫ শিক্ষার্থীকে ভর্তির আহ্বান ছাত্রদলের
সেই ৯৫ শিক্ষার্থীকে ভর্তির আহ্বান ছাত্রদলের

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যুক্তরাষ্ট্রের মদদে পুড়ছে তেহরান, সরব বলিউডের ইরানি অভিনেত্রী মান্দানা
যুক্তরাষ্ট্রের মদদে পুড়ছে তেহরান, সরব বলিউডের ইরানি অভিনেত্রী মান্দানা

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

উত্তেজনার মধ্যেই বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর চালু করলো ইসরায়েল!
উত্তেজনার মধ্যেই বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর চালু করলো ইসরায়েল!

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
ইরানের তোপে সুর নরম, যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর
ইরানের তোপে সুর নরম, যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে মার্কিন হামলা, যা বললেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
ইরানে মার্কিন হামলা, যা বললেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'১০ বছরের মধ্যে ইরান পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত হবে'
'১০ বছরের মধ্যে ইরান পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত হবে'

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হরমুজ প্রণালি খোলা রাখতে চীনের দ্বারস্থ যুক্তরাষ্ট্র
হরমুজ প্রণালি খোলা রাখতে চীনের দ্বারস্থ যুক্তরাষ্ট্র

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের হয়ে নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়া, চীন ও পাকিস্তানের প্রস্তাব
ইরানের হয়ে নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়া, চীন ও পাকিস্তানের প্রস্তাব

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আপনি আমাদের জায়গায় থাকলে কি করতেন?’
‘আপনি আমাদের জায়গায় থাকলে কি করতেন?’

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেল আবিবে ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়াদের খুঁজছে ইসরায়েলি পুলিশ
তেল আবিবে ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়াদের খুঁজছে ইসরায়েলি পুলিশ

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরানের ইনকিলাব স্কয়ারের বিক্ষোভে যোগ দিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট
তেহরানের ইনকিলাব স্কয়ারের বিক্ষোভে যোগ দিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা গ্রেফতার
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা গ্রেফতার

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সরকারি চাকরিজীবীদের বিশেষ প্রণোদনার টাকা বাড়ালো সরকার
সরকারি চাকরিজীবীদের বিশেষ প্রণোদনার টাকা বাড়ালো সরকার

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুতিনের সঙ্গে ‘গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা’ করতে রাশিয়ায় যাচ্ছেন আরাগচি
পুতিনের সঙ্গে ‘গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা’ করতে রাশিয়ায় যাচ্ছেন আরাগচি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মৌসুমী, ফারিয়া, সাবিলাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ
মৌসুমী, ফারিয়া, সাবিলাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইরানে সরকার পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প
ইরানে সরকার পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সকালেই ইসরায়েলে ইরানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র  হামলা
সকালেই ইসরায়েলে ইরানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার কতটা ক্ষতি হয়েছে জানালেন ট্রাম্প
মার্কিন হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার কতটা ক্ষতি হয়েছে জানালেন ট্রাম্প

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেলের বাজারে আগুন, যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে ধসের আশঙ্কা
তেলের বাজারে আগুন, যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে ধসের আশঙ্কা

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নেতানিয়াহুর বড়শিতে আটকে গেলেন ট্রাম্প!
নেতানিয়াহুর বড়শিতে আটকে গেলেন ট্রাম্প!

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হরমুজ প্রণালি বন্ধের অনুমোদন দিল ইরানের পার্লামেন্ট
হরমুজ প্রণালি বন্ধের অনুমোদন দিল ইরানের পার্লামেন্ট

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ‘ধ্বংসপ্রাপ্ত’, দাবি মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ‘ধ্বংসপ্রাপ্ত’, দাবি মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার জরুরি বৈঠকে বসবে আইএইএ
ইরান পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার জরুরি বৈঠকে বসবে আইএইএ

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষিণ ও মধ্য ইরানের দুই প্রদেশে ইসরায়েলি হামলা
দক্ষিণ ও মধ্য ইরানের দুই প্রদেশে ইসরায়েলি হামলা

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আহত ৮৬
ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আহত ৮৬

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান কোথায় পাল্টা আঘাত হানতে পারে?
ইরান কোথায় পাল্টা আঘাত হানতে পারে?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘সাবেক সিইসি নুরুল হুদার সঙ্গে যা হয়েছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়’
‘সাবেক সিইসি নুরুল হুদার সঙ্গে যা হয়েছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়’

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডা. স্বপ্নীলের সনদ ৫ বছরের জন্য স্থগিত করল বিএমডিসি
ডা. স্বপ্নীলের সনদ ৫ বছরের জন্য স্থগিত করল বিএমডিসি

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উত্তেজনার মধ্যেই বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর চালু করলো ইসরায়েল!
উত্তেজনার মধ্যেই বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর চালু করলো ইসরায়েল!

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বৈদ্যুতিক গোলযোগে হঠাৎ অন্ধকারে ঢাকার উল্লেখযোগ্য অংশ
বৈদ্যুতিক গোলযোগে হঠাৎ অন্ধকারে ঢাকার উল্লেখযোগ্য অংশ

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

হরমুজ প্রণালী বন্ধের পথে ইরান, দুটি তেলবাহী জাহাজের ইউটার্ন
হরমুজ প্রণালী বন্ধের পথে ইরান, দুটি তেলবাহী জাহাজের ইউটার্ন

৫১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

করোনায় আরও ৫ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩৬
করোনায় আরও ৫ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩৬

১৯ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

ইসলামী ব্যাংকের সাবেক এমডি মনিরুল মাওলা গ্রেপ্তার
ইসলামী ব্যাংকের সাবেক এমডি মনিরুল মাওলা গ্রেপ্তার

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রিন্ট সর্বাধিক
সর্বনাশের বুলবুলি, দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি
সর্বনাশের বুলবুলি, দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি

সম্পাদকীয়

পর্যটন স্পটে হুমকিতে নারীর গোপনীয়তা
পর্যটন স্পটে হুমকিতে নারীর গোপনীয়তা

পেছনের পৃষ্ঠা

কী এই বি-২ বোমারু বিমান
কী এই বি-২ বোমারু বিমান

প্রথম পৃষ্ঠা

আন্দোলনে অচল সরকারি দপ্তর
আন্দোলনে অচল সরকারি দপ্তর

পেছনের পৃষ্ঠা

ইলিশ কমছে যে কারণে
ইলিশ কমছে যে কারণে

পেছনের পৃষ্ঠা

‘কুইক রেন্টাল’, বিপুর সোনার ডিম পাড়া হাঁস
‘কুইক রেন্টাল’, বিপুর সোনার ডিম পাড়া হাঁস

প্রথম পৃষ্ঠা

আমার ক্যারিয়ার নিয়ে সন্তুষ্ট
আমার ক্যারিয়ার নিয়ে সন্তুষ্ট

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সাবেক সিইসি নূরুল গ্রেপ্তার জুতার মালা
সাবেক সিইসি নূরুল গ্রেপ্তার জুতার মালা

প্রথম পৃষ্ঠা

রুপালি সম্পদের খনি হালদা
রুপালি সম্পদের খনি হালদা

পেছনের পৃষ্ঠা

তিন নায়িকাসহ ২৫ জনের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
তিন নায়িকাসহ ২৫ জনের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

পেছনের পৃষ্ঠা

কক্সবাজারে বাড়ছে মানব পাচার
কক্সবাজারে বাড়ছে মানব পাচার

নগর জীবন

অলআউট যুদ্ধের মহাবিপৎসংকেত
অলআউট যুদ্ধের মহাবিপৎসংকেত

প্রথম পৃষ্ঠা

করোনায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু
করোনায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজ্জাকের হাসি আর থামে না
রাজ্জাকের হাসি আর থামে না

শোবিজ

বিশেষ সুবিধা বাড়ল সরকারি চাকরিজীবীদের
বিশেষ সুবিধা বাড়ল সরকারি চাকরিজীবীদের

পেছনের পৃষ্ঠা

জীবনজুড়ে স্রষ্টার করুণার ছায়া
জীবনজুড়ে স্রষ্টার করুণার ছায়া

সম্পাদকীয়

নাটকের যেসব নায়িকা সিনেমায় সফল
নাটকের যেসব নায়িকা সিনেমায় সফল

শোবিজ

আবারও রাজ-ফারিণ
আবারও রাজ-ফারিণ

শোবিজ

মাঠে ফেরার অপেক্ষায় তিন পেসার
মাঠে ফেরার অপেক্ষায় তিন পেসার

মাঠে ময়দানে

ঝোপ বুঝে নাজমুলের কোপ
ঝোপ বুঝে নাজমুলের কোপ

মাঠে ময়দানে

বাফুফের নতুন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ক্রুইফ!
বাফুফের নতুন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ক্রুইফ!

মাঠে ময়দানে

প্রবাসীকে গুলি করে হত্যার হুমকি বিএনপি নেতার
প্রবাসীকে গুলি করে হত্যার হুমকি বিএনপি নেতার

পেছনের পৃষ্ঠা

২০২৬ টি-২০ বিশ্বকাপে কানাডা
২০২৬ টি-২০ বিশ্বকাপে কানাডা

মাঠে ময়দানে

দেশব্যাপী ক্রিকেট ছড়িয়ে দিতে চায় বিসিবি
দেশব্যাপী ক্রিকেট ছড়িয়ে দিতে চায় বিসিবি

মাঠে ময়দানে

এবার অপি-তাহসান
এবার অপি-তাহসান

শোবিজ

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ  টেস্ট জেতে ২০১৭ সালে
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ টেস্ট জেতে ২০১৭ সালে

মাঠে ময়দানে

আইএসডিতে বার্সা একাডেমি সামার ক্যাম্প
আইএসডিতে বার্সা একাডেমি সামার ক্যাম্প

মাঠে ময়দানে

মোবাইলের আলোতে চলল ট্রেন!
মোবাইলের আলোতে চলল ট্রেন!

পেছনের পৃষ্ঠা

ওহাইও নদীর তীরে ফুটবল উৎসব
ওহাইও নদীর তীরে ফুটবল উৎসব

মাঠে ময়দানে