রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভার নির্বাচনী মামলায় নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ভোট পুনঃগণনায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী রবিউল ইসলাম রবিকে ৫৯ ভোটে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন।
গত ২৪ নভেম্বর নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল রাজশাহীর বিচারক গোলাম কবির এ আদেশ প্রদান করেন।
২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর পুঠিয়া পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী রবিউল ইসলাম রবি নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরপর আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী রবিউল ইসলাম রবি বাদি হয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর ৪/১৬। মামলায় বিবাদী বর্তমান ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র আসাদুল হক ও বাদি আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী রবিউল ইসলাম রবি হলফপূর্বক জবাববন্দী প্রদান করেন। উভয় প্রার্থীই ভোট পুনঃগণনার ফলাফল মেনে নেবেন বলেও হলফনামায় উল্লেখ করা হয়। ভোট পুনঃগণনায় উভয়পক্ষের আইনজীবী ও আদালতের বিচারকের উপস্থিতিতে সীলগালাকৃত ব্যালট বাক্স খুলে পুনঃগণনা করা হয়।
গত ২৪ নভেম্বর ভোট পুনঃগণনা শেষে মোট বৈধ ভোটারের সংখ্যা ১১ হাজার ৫৫১টি। অবৈধ ভোটের সংখ্যা ৪৫২টি। ভোট পুনঃগণনায় উভয়পক্ষ ও তাদের নিয়োজিত কৌশলীদের উপস্থিতিতে ভোট পুনঃগণনায় দরখাস্তকারী রবিউল ইসলাম রবির নৌকা প্রতীক ৪ হাজার ১৪২ ভোট পেয়েছেন। প্রতিপক্ষ ধানের শীষ প্রতীকের আসাদুল হক ৪ হাজার ৮৩টি ভোট পেয়েছেন। ৫৯ ভোটে নৌকা প্রতীক বিজয়ী হয়েছে।
ভোট পুনঃগণনার দিন দরখাস্তকারী নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে ৫ জন আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
তারা হলেন- অ্যাডভোকেট এজাজুল হক মানু, আহসান হাবীব রঞ্জু, আতাউর রহমান, একেএম মাসুদুল হক ও আনজু মনোয়ার খাতুন লিপি। প্রতিপক্ষ ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী বর্তমান মেয়র আসাদুল হকের পক্ষে ৫ জন আইনজীবী হাজিরা ছিলেন। তারা হলেন- অ্যাডভোকেট আসাদুল হক, আবদুস সাত্তার, কামরুজ্জামান বকুল ও আবদুল হামিদ।
গত ২৪ নভেম্বর বিচারক মামলার আদেশে বিচারক নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী রবিউল ইসলাম রবিকে মেয়র হিসেবে ৫৯ ভোটে বিজয়ী করেন। আদেশের অনুলিপি সংশ্লিষ্ট রির্টানিং অফিসারের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর পুঠিয়া পৌরসভার মেয়র নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে আসাদুল হক ২৭১ ভোটে বিজয়ী হয়েছিলেন।