আজ ১৪ডিসেম্বর বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়। সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সড়ক ভবন চত্বরে অবস্থিত ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের স্মৃতিসৌধে জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে বাংলার বীর সন্তানকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব রুহুল আমিন, জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান, পুলিশ সুপার টি.এম মোজাহিদুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরের ভাগ্নে নাজমুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ মানুষ। পরে সোনামসজিদ চত্বরে শহীদ জাহাঙ্গীরের মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, মাজার জিয়ারত, দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা ও গরীবদের মাঝে খাদ্য বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এই দিনে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ মুক্ত করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়ে এগুতে থাকেন এবং ১৪ডিসেম্বর ভোরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের রেহাইচর নামক স্থানে তিনি অবস্থান নেন। এ খবর শত্রুদের কাছে পৌঁছালে রাজাকাররা তাকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করলে ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর কপালে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। ওইদিন তার লাশ ওই স্থানেই পড়ে থাকে। একদিন পর ১৫ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ মুক্ত হলে তার সহযোদ্ধারা শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের লাশ উদ্ধার করে সোনামসজিদ প্রাঙ্গনে নিয়ে সমাহিত করেন। দীর্ঘদিন তার কবরটি অযত্নে পড়ে থাকার পর ১৯৯৫ সালে তৎকালীন ২৬ বিডিআর ব্যাটালিয়নের উদ্যোগে কবরটি টাইলস দিয়ে বাঁধানো হয়।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ