পারিবারিক বিরোধের জের ধরে জামালপুরের সরিষাবাড়িতে তিন নারীকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত নির্যাতিতা ওই তিন নারীকে সোমবার সরিষাবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র ও নির্যাতিতা তিন নারী জানান, সরিষাবাড়ি উপজেলার মোনার পাড়া গ্রামের মোজাম্মেল মিয়া তার প্রথম স্ত্রী লিলি আক্তারকে তালাক দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করে কল্পনা বেগম নামে এক নারীকে। দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে সে সংসার করছিল। কিন্ত মোজাম্মেলের দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি মানতে পারেনি তার চাচা আব্দুর রহমান।
এনিয়ে চাচা আব্দুর রহমানের সাথে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল মোজাম্মেলের। এক পর্যায়ে আব্দুর রহমান দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দিয়ে প্রথম স্ত্রীকে গ্রহণ করার জন্য মোজাম্মেলের উপর চাপ সৃষ্টি করে। এই খবর পেয়ে মোজাম্মেলের দ্বিতীয় স্ত্রীর মা ফজিলা বেগম(৫০) ও নানী রাবেয়া বেওয়া(৮০) রবিবার মোজাম্মেলের বাড়িতে এলে চাচা আব্দুর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
রবিবার রাতে আব্দুর রহমান তার লোকজন নিয়ে ভাতিজা মোজাম্মেলকে একটি ঘরে আটকে রেখে তার দ্বিতীয় স্ত্রী কল্পনা বেগম, শাশুড়ি ফজিলা বেগম ও নানী শাশুড়ি রাবেয়া বেওয়াকে বাড়ির উঠোনে একটি কাঠাল গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্মম নির্যাতন চালায়। এসময় তিন নারীর চিৎকার শুনে লোকজন ছুটে এলে আব্দুর রহমান তার লোকজনকে নিয়ে সটকে পড়ে। পরে গুরুতর আহত ওই তিন নারীকে গ্রামবাসী সরিষাবাড়ি উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।
এই ঘটনায় মোজাম্মেল বাদি হয়ে চাচা আব্দুর রহমানসহ ৫ জনকে আসামী করে সরিষাবাড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
সরিষাবাড়ী থানার ওসি রেজাউল ইসলাম খান বিষয়টি স্বীকার করে জানান, এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে।