বিজয় দিবসের কর্মসূচির বিতর্কিত ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগ কোনো অবস্থায় জড়িত নয় বলে দাবি করে করেছে পিরোজপুরের জিয়ানগর উপজেলা আওয়ামী লীগ। আজ মঙ্গলবার সাড়ে ১১টায় পিরোজপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এম মতিউর রহমান।
লিখিত বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতি এম মতিউর রহমান বলেন, বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে জিয়ানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উদ্বোধনী ভাষণ দেন। পতাকা উত্তোলন ও পায়রা উড়ানোর সময় পিছন থেকে হঠাৎ করে মাসুদ সাঈদী পতাকা মঞ্চে উঠেন। পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য না দিলেও পুরস্কার বিতরণের সময় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বেলায়েত হোসেন এর পাশে দাঁড়ান এবং পুরস্কার দেয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় মাসুদ সাঈদী তার লোকজনকে দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ছবি তোলেন এবং পরবর্তীতে ছবিগুলো উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ফেসবুক পেজে দেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মী এতে জড়িত নয়। মাসুদ সাঈদী পরবর্তীতে এ ধরনের আর কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকলে তা উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রতিহত করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সমীর কুমার দাস বাচ্চুসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান মনির, ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন সেলিম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের প্যারেডে সালাম গ্রহণ ও মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে সম্মাননা পুরস্কার তুলে দেন মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর পুত্র জিয়ানগর উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী। এ সকল মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে সাঈদীর বিরুদ্ধে করা যুদ্ধাপরাধ মামলার বাদীও রয়েছেন। এ সময় বিজয় দিবসের প্যারেডে সালাম গ্রহণ মঞ্চে উপস্থিত জিয়ানগর উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদীর পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুল হক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট মতিউর রহমান।
অনুষ্ঠানের ছবি মাসুদ সাঈদী নিজের ফেইসবুকে পোস্ট দেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ ছবি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এ ঘটনার দুই দিন পরে প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুল হককে ক্লোজ করা হয়। এর এক দিন পরে আজ সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ।
বিডি প্রতিদিন/২০ ডিসেম্বর, ২০১৬/ফারজানা