নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূ রুমা আক্তার (২৫) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে মারা গেছেন। এ ঘটনায় স্বামী লালশাহসহ (৩২) মোট তিনজনকে আটক করেছে মোহনগঞ্জ থানার পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মোহনগঞ্জ পৌর এলাকার সাতুর গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে লালশাহর সঙ্গে একই উপজেলার বিরামপুর গ্রামের আব্দুল মন্নাফের মেয়ে রুমার বিয়ে হয় তিন বছর আগে। বিয়ের পর থেকে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য রুমাকে অত্যাচার কর। এরই জের ধরে শনিবার আনুমানিক রাত ৯ টার দিকে রুমাকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মারধর করার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
রাতেই অগ্নিদগ্ধ রুমাকে উদ্ধার করে মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবণতি হওয়ায় ওই রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রুমাকে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় রুমার ভাই মলুদ মিয়া বাদী হয়ে সোমবার রাতে মোহনগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলায় রুমার স্বামী লালশাহসহ মোট ৬ জনকে আসামি করা হয়।
মোহনগঞ্জ থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন বলেন, লালশাহকে ঢাকা থেকে আটক করা হয়েছে। তার বাড়ি থেকে বাবুল মিয়া (৪০) ও তার স্ত্রী লাভলী আক্তারকে (৩৫) আটক করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/২০ ডিসেম্বর, ২০১৬/ফারজানা