কিশোরগঞ্জসহ ছয়টি জেলার হাওরের উন্নয়নে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে কিশোরগঞ্জের হাওর অধ্যুষিত নিকলী উপজেলার ছাতিরচরে এ কাজের উদ্বোধন করেন পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। এ সময় পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম বীর প্রতীক, কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনের সংসদ সদস্য আফজাল হোসেন ও কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিনসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী নিকলীর ছাতিরচরে বেরী গাঙ (মরা গাঙ) খাল খনন কাজের উদ্বোধনের মাধ্যমে সবকটি প্রকল্পের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। ছয়টি জেলার হাওর এলাকায় বন্যা ব্যবস্থাপনা, নদী খনন ও জীবনমান উন্নয়নে এ সকল প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে নদী ও খাল খনন, ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ, কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, উন্নত জাতের বীজ, কীটনাশক, সার এবং আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতির মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষণ, আগাম বন্যা থেকে হাওরের ফসল রক্ষা করতে মাড়াই ও শুকানোর জন্য উঁচু স্থান তৈরি, আত্মকর্ম সংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ছাগল ও হাঁস পালন, সেলাই মেশিন বিতরণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমুখি প্রকল্প। কিশোরগঞ্জ ছাড়া প্রকল্পের আওতাভূক্ত জেলাগুলো হলো ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
এর আগে বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়া বাজারে আয়োজিত এক মত বিনিময় সভায় স্থানীয় জনগণকে এ সকল প্রকল্প সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়। সংসদ সদস্য আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, সরকার হাওর এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে একের পর এক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে চলেছে। হাওরের মানুষ আর পিছিয়ে থাকবেনা। ঢাকার মানুষেরা যে সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করে, পিছিয়ে পড়া বিশেষ করে হাওরের মানুষও যেন সে রকম সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে রকমটিই চাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সরকার ও উন্নয়ন সহযোগী জাইকার অর্থায়নে এ সকল প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। ২০২২ সালে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে জানা গেছে।