নবাবগঞ্জে কৃষকদের চাষাবাদ এক সময় ধান, গম, সবজি ও মসলা চাষের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। বর্তমানে সময়ের বিবর্তনে তারা চাষাবাদে কিছুটা পরিবর্তন এনে অন্য ফসল চাষেও আগ্রহী হচ্ছে। ফলে তারা বেশ লাভবানও হচ্ছেন। এরমধ্যে অন্যতম বিভিন্ন ফলের বাগান করা। বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বাউকুলসহ নানা জাতের কুলের বাগান দেখা যাচ্ছে। এমনই একজন বাউকুল বাগান মালিক খয়ের মিয়া।
খয়ের মিয়ার কুল বাগানের লাভ দেখে অনেকেই এখন কুলের চাষের দিকে ঝুঁকছেন। তার ভাষায় কুল বাগান করে যে অর্থ উপার্জন করে তা অন্য কোন ফসল করে পাওয়া সম্ভব নয়।
বাগান মালিক খয়ের মিয়া নবাবগঞ্জের কুশদহ ইউপির রহিমাপুর গ্রামের মৃত ফয়েজ মিয়ার ছেলে। তিনি জানান, ৬/৭ বছর ধরে কুলের বাগান করে আসছেন। চলতি মৌসুমে তার ২৮ শতাংশ জমিতে রয়েছে বাউ কুলের বাগান। বাগানে ১১৩টি কুল গাছ রয়েছে। প্রতি বিঘায় কুল বাগানে খরচ হয় মোট ২৫/৩০ হাজার টাকা। প্রতিগাছে কুল আসে প্রায় ৩০ কেজি করে। প্রতি কেজি কুল বিক্রি হয় ৪০ টাকা কেজি দরে। সেই হিসাবে সে গত মৌসুমে ওই বাগান থেকে ৯০ হাজার টাকার কুল বিক্রি করেছেন বলে জানান।
শুধু তিনি নন, তার প্রতিবেশি শাহাজুল ইসলাম ও আলতাব হোসেনসহ অনেকেই কুলের বাগান করেছেন।
এ ব্যাপারে নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুরেজা মো. আসাদুজ্জামান জানান, কৃষকেরা আধুনিক ও সচেতন হয়েছে। তারা কোন ফসলে বেশি মুনাফা আসে তা নিজেরাই বেছে নিচ্ছেন। উপজেলায় বাউকুল,আপেল কুল ও নারিকেল কুলের ১২ হেক্টর জমির উপরে ৪০টি বাগান রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ