গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে নিয়ে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরী নিজেই বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের পূর্ব ঝিনিয়া এলাকায়। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী স্থানীয় ঝিনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার দক্ষিণ ধুমাইটারি এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে সজিব মিয়া (২০), আনারুলের ছেলে সোহেল রানা (২০), ও মোহাম্মদ আলীর ছেলে নাহিদ মিয়া (২৫)। অভিযুক্তদের মধ্যে সজিব মিয়া ভুক্তভোগী কিশোরীর প্রতিবেশী ফুফা।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাকিম আজাদ। এর আগে শুক্রবার গভীর রাতে থানায় এই মামলা করা হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে ওই ছাত্রী তার নিজ বাড়ির একটি আলাদা ঘরে একা ঘুমিয়ে পড়েন। রাত সোয়া ১২টার দিকে সজিব মিয়া ওই ছাত্রীর ঘরের জানালার কাছে এসে তাকে ডাকতে থাকে। এ সময় বিভিন্ন প্রলোভন দেখালে মেয়েটি দরজা খুলে বাইরে আসে। এরপর সজিব তাকে পূর্ব ঝিনিয়া এলাকার একটি বাঁশঝাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে আরও দুইজনকে দেখতে পেয়ে মেয়েটি চিৎকার করার চেষ্টা করে। তখন তিনজন ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এরপর সোহেল ও নাহিদ পালিয়ে যান এবং সজিব মেয়েটিকে তার বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে সারাদিন আপস-মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
নিরুপায় হয়ে ওই ছাত্রী বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, "শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে থানায় ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে। এরপর রাতে ভুক্তভোগী নিজেই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।"
বিডি প্রতিদিন/আশিক