ঘন কুয়াশা আর হাড় কাঁপানো শীতে কাঁপছে উত্তরের জেলা লালমনিরহাট। দিন গড়িয়ে গেলেও সূর্যের দেখা মিলছে না। অবিরত বৃষ্টির মতো শিশির ঝরছে। বেড়েই চলছে ছিন্নমূল মানুষের কষ্টের মাত্রা। কনকনে শীতের হাত থেকে বাঁচতে অনেকেই আগুন জ্বালিয়ে উত্তাপ নিলেও তীব্র অভাব রয়েছে শীতবস্ত্রের। এরই মধ্যে শীত নিবারনের জন্য খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে গিয়ে দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
চলবলা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু জানান, রবিবার রাতে শীত নিবারনের জন্য খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে গিয়ে তার ইউপির শিয়াল খোওয়া গ্রামের তরনী কান্ত(৬৩) নামের বৃদ্ধ মারা গেছে। এদিকে শনিবার ভোরে জারী ধরলা গ্রামের অমিতন বেওয়া(৬৭) নামের অপর এক বৃদ্ধা অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর সোমবার সকালে মারা গেছে বলে জানান মোগলহাট ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান।
তীব্র শীতে ঘর থেকে বের হতে পারছে না ছিন্নমূল মানুষ। মাঠে কাজ করা তো দূরের কথা, দুপুর ১২টায়ও কুয়াশার চাঁদরে ঢাকা থাকছে রাস্তাঘাট। হেড লাইট জ্বালিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। কাজকর্ম কমে গেছে উপার্জনক্ষম মানুষের। চরম সংকটে পড়েছে দিন এনে দিন খাওয়া মানুষেরা। শীতজনিত রোগের প্রকোপ যেন পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে। লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষঞ্জ ডা. হাফিজুর রহমান জানান, গত কয়েক দিন থেকে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ