সিলেটে বাসার ছাদে আওয়ামী লীগ নেতা খুনের ঘটনায় নিহতের ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার তাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পুলিশ তার পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোন মামলা না করায় দক্ষিণ সুরমা থানার এসআই আনোয়ারুল কামাল।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকালে দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের তেলিরাই গ্রামের বাড়ির ছাদ থেকে আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাকের (৫৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ছুরিকাঘাতে তার নাড়িভুড়ি বের হয়ে এসেছিল। বুকের মধ্যেও ছুরিকাঘাত ছিল। এছাড়া অন্ডকোষও কেটে ফেলে খুনিরা।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অফিসার, এডিসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, আবদুর রাজ্জাকের মৃত্যু আত্মহত্যা বলে দাবি করে তার পরিবার। কিন্তু হত্যাকান্ডের আলামত সেটি বলছে না। তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে অপমৃত্যু মামলা দায়ের করতে চেয়েছিল। কিন্তু পুলিশ অপমৃত্যু মামলা নেয়নি। পরিবার রাজি না হওয়ায় দক্ষিণ সুরমা থানার এসআই আনোয়ারুল কামাল বাদি হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় নিহতের ছেলে আসাদ হোসেনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। তার পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা এআই এবিএম শাহ আলম। আসাদকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা সাইফুল জানান, হত্যাকাণ্ডের পর বাসার সিসি ক্যামেরা চেক করা হয়েছে। ওই সময় বাইরে থেকে কেউ বাসায় প্রবেশ করেনি। কেউ বের হয়েও যায়নি। তাই ধারণা করা হচ্ছে, পরিবারের সদস্যদের হাতেই আবুদর রাজ্জাক খুন হয়েছেন। বাড়িতে আবদুর রাজ্জাকের স্ত্রী, ছেলে, ছেলের স্ত্রী ও এক নাতি থাকতেন। বড় রকমের কোন ক্ষোভ থেকে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। হত্যাকারী আক্রোশবশত ছুরিকাঘাত করে নাড়িভুড়ি বের করে দিয়েছে। বুকের মধ্যে ছুরিকাঘাত করার পাশাপাশি অন্ডকোষও কেটে ফেলেছে। আলামত বলছে, এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যৌন হয়রানিরও ঘটনা থাকতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/এএম