জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভোলায় বিএনপি এবং বিজেপির (আন্দালিব রহমান পার্থ) মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এক পুলিশ, দুই সাংবাদিকসহ উভয় দলের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নতুন বাজার বিজেপি অফিসের সামনে সংঘর্ষ শুরু হয়। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে নতুন বাজার থেকে প্রেস ক্লাব পর্যন্ত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই এলাকায় বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নতুন বাজার ও বিজেপি অফিসের সামনে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এ সময় ভোলা সদর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আউয়াল, নিউজ ২৪- এর ক্যামেরাপারসন রানা ইসলাম এবং দৈনিক আজকের ভোলার সহসম্পাদক ও বাংলাবাজার পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি শাহরিয়ার ঝিলনসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত বেশ কয়েকজনকে হাসপাতাল নেওয়া হয়েছে।
সংঘর্ষের পর বেলা ২টায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ভোলা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রাইসুল আলম বলেন, বিজেপির কর্মসূচি শেষ হওয়ার কথা দুপুর ১২টার আগে। আমরা সংঘাত এড়ানোর জন্য দুপুর সাড়ে ১২টায় মিছিল শুরু করেছি। আমাদের মিছিলটি কাবিল মসজিদের কাছাকাছি গেলে মিছিলকে লক্ষ্য করে কে বা কারা ককটেল নিক্ষেপ করে। এতে সংঘর্ষ শুরু হয়। তিনি আরও জানান, ফেব্রুয়ারিতে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে সেই নির্বাচন বানচাল করার হীন উদ্দেশ্যে তৃতীয় একটি পক্ষ রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে নষ্ট করছে।
অন্যদিকে সদর বিজেপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থর নেতৃত্বে বিএনপি জোটের হয়ে কাজ করছি। আজকের যে ঘটনা এটা মূল বিএনপি করেনি। বিএনপির একটি গ্রুপ বিজেপির অফিসে হামলা করেছে। তাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেছে। এতে বিজেপির বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মোতাসিম বিল্লাহ বলেন, হামলার ঘটনায় তাদের অনেকে আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৫-৬ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠানো হয়েছে।