দিনাজপুরের পৃথক স্থানে বজ্রপাতে কৃষকসহ দুইজন নিহত হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছে ৮ জন। সোমবার সারাদিন বৃষ্টিপাতের সময় কাহারোল ও চিরিরবন্দরে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
কাহারোলে বজ্রপাতে মোঃ ওবাইদুর রহমান (৩১) নামে এক কৃষকের মৃত্যু। সাড়ে পাচঁ ঘন্টাপর সোমবার রাতে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অপরদিকে, চিরিরবন্দর উপজেলায় বজ্রপাতে ঝিলকি বালা (৮০) নামে এক বৃদ্ধা নিহত ও তার প্রতিবেশিসহ ৮ জন আহত হয়েছেন।
নিহত মোঃ ওবাইদুর রহমান কাহারোল উপজেলার রসুলপুর গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে এবং নিহত ঝিলকি বালা চিরিরবন্দরের ইসবপুর ইউপির দক্ষিণনগর গ্রামের বালাপাড়ার মৃত পান মামুনের স্ত্রী।
আহতরা হলেন, ইসবপুর ইউপির দক্ষিণনগর গ্রামের বালাপাড়ার মিষ্টারের স্ত্রী জেসমিন (৪০), মোকলেছুর রহমানের স্ত্রী রোজিনা বেগম (৪২), নুর আলমের স্ত্রী মোসলেমা বেগম (৩৫), দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী মনিরা বেগম (৩০), ভুসাইয়ের স্ত্রী মিলকি বেগম (৬০), পাচিরউদ্দিনের ছেলে আবুবক্কর (২০), মৃত মন্ডলের ছেলে আবুল হোসেন (৭০) ও হায়দার আলীর শিশুপুত্র আব্দুর রহিম (২) আহত হন।
কাহারোলের রসুলপুর ইউপির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান, দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করে ওবাইদুর রহমান নিজের ক্ষেতে কাজ করতে য়ায়। বিকাল থেকে বৃষ্টিপাত হয়। সন্ধ্যা হলেও বাড়ীতে ফিরে না আসায় বাড়ীর লোকজন ওবাইদুর রহমানকে খোঁজা শুরু করে। খোঁজ করে না পাওয়ায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে ক্ষেতে খোঁজ করা হয়। সেখানে গিয়ে তার ঝলসানো লাশ দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা।
অপরদিকে, চিরিরবন্দরের ইসবপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু হায়দার লিটন ও পুলিশ জানায়, সোমবার সারাদিন গুড়িগুড়ি বৃষ্টিপাত হতে থাকে। বৃষ্টিপাতের সময় বজ্রপাত সংঘটিত হলে বাড়ির বাইরে থাকা ঝিলকি বালা (৮০) নামে এক বৃদ্ধা ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। এসময় বজ্রপাতে ৮জন আহত হয়। গুরুতর আহত জেসমিন বেগম ও রোজিনা বেগমকে পাবর্তীপুর ল্যাম্ব হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/২৭ ডিসেম্বর ২০১৬/হিমেল