লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই চিকিৎসক এক দিনের ছুটি নিয়ে এক বছরেরও বেশি সময় কর্মস্থলে অনুপস্থিত। কর্মস্থলে যোগদানের জন্য কয়েকবার চিঠি দিয়েও খোঁজখবর পায়নি কর্তৃপক্ষ। পদ শূন্য না হওয়ায় নতুন কাউকে নিয়োগও দেয়া সম্ভব হয়নি। এতে এলাকার মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১২ জুলাই এক দিনের ছুটি নেন জুনিয়র কনসালট্যান্ট (অর্থোপেডিক) ডা. আবুল কাশেম মহিউদ্দিন। এখনো তিনি কাজে ফেরেননি। একই বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. কাজী সামসুদ্দোহা অনুপস্থিত রয়েছেন। এর আগের দিন তিনি এক দিনের ছুটি নিয়েছেন। তবে তারা ওই সময় থেকে কোন বেতন-ভাতাও তোলেননি।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শাহারিয়া শায়লা জাহান, গত ২৩ নভেম্বর উপজেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নিকট একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন। কাজী সামসুদ্দোহা ও আবুল কাশেম মহিউদ্দিনের অনুপস্থিতির বিষয়টি গত ডিসেম্বর মাসে মাসিক সভায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কর্মস্থলে যোগদানের জন্য তাদের স্থায়ী ঠিকানায় একাধিকবার নোটিশ পাঠানো হয়েছে। যতদূর সম্ভব খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, তারা দেশের বাইরে চলে গেছেন।
রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, আবুল কাশেম গত বছরের ৬ এপ্রিল এবং কাজী সামসুদ্দোহা ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন।
প্রতিদিন হাসপাতালে বর্হিবিভাগে গড়ে ৩০০ থেকে ৩৫০ জন রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কয়েকজন চিকিৎসক জানান, এখানে ২১ জন চিকিৎসক কর্মরত থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র আট জন। এতে গরীব-অসহায় রোগীরা বঞ্চিত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করার জন্য ডা. আবুল কাশেম মহিউদ্দিন ও ডা. কাজী সামছুদ্দোহার মোবাইলে একাধিকবার কল দিয়ে সেগুলো বন্ধ পাওয়া যায়।
বিডি প্রতিদিন/৫ জানুয়ারি, ২০১৭/ফারজানা