বাগেরহাটের শরণখোলায় জেলেদের সরকারী খাদ্য সহয়তার চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জেলেদের গত ৩ মাসে বরাদ্দকৃত জনপ্রতি ১২০ কেজি চাল বরাদ্দ থাকলেও দেয়া হয়েছে ১০০ কেজি চাল। ২০ কেজি চাল ইউপি চেয়ারম্যান আত্মসাৎ করায় জেলেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
জেলেরা জানায়, মঙ্গলবার সকালে উপজেলার আমড়াগাছিয়া এলাকায় ধানসাগর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মঈনুল ইসলাম টিপু পরিষদ কার্যালয় থেকে ওই ইউনিয়নের ৫ নং ও ৬ নং ওয়ার্ডের ১৩৫ জন জেলেদের মধ্যে গত ৩ মাসের সরকারী খাদ্য সহায়তা ১২০ কেজি চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেন। এ সময় জেলেদেরকে ২০/২৫ কেজি চাল কম দিলে বিষয়টি নিয়ে তারা বাকবিতাণ্ডা শুরু করেন। পরে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যদের নিকট অভিযোগ করেন।
চাল বিতরণের সময় তদারকির দায়িত্বে থাকা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আখতার হোসেন বলেন, চাল বিতরণকালে আমার উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও চেয়ারম্যান বিষয়টি আমাকে অবহিত না করেই চাল বিতারণ করেন।
ধানসাগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মঈনুল ইসলাম টিপু চাল কম দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ২০/২৫ কেজি নয় ১০ কেজি করে চাল কম দেয়া হয়েছে। কারণ খাদ্য গুদাম থেকে চাল সরবারহকালে ওসিএলএসডি (খাদ্য কর্মকর্তা) কিছু চাল কেটে রেখে দেন এবং পরিবহন ও অন্যান্য খরচ মেটাতে জেলেদের কিছু চাল কম না দিয়ে পারা যায় না। নিয়ম অনুসারে ১২০ কেজি চাল সরবারহ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন এই ইউপি চেয়ারম্যান।
শরনখোলা উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মি. দেবদুত রায় বলেন, চাল সরবরাহকালে সম্পূর্ণই সংশ্লিষ্টদের বুঝিয়ে দেয়া হয়। খাতা পত্রে তার প্রমান রয়েছে। চেয়ারম্যান যে অভিযোগ করেছেন, তা তিনি স্বজ্ঞানে করেননি।
শরনখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা ও মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি তাদের জানা নেই, তবে খোঁজ খবর নিয়ে দেখবেন। চাল কম দেয়ার বিষয়টির প্রমান পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/১৩ জুন ২০১৭/হিমেল