নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আটকের পর পুলিশের হাত থেকে পালাতে গিয়ে মিজানুর রহমান হেলাল (২৫) নামে এক জামায়াত কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাতে বসুরহাট পৌরসভার হাসপাতাল রোডে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ হেলালের সাথে থাকা শিবির কর্মী ফখরুল ইসলাম রাজু ও রিয়াদকে আটক করে।
নিহত হেলাল বসুরহাট পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ডের আপিল উদ্দিন ব্যাপারী বাড়ীর বেলায়েত হোসেন মুন্সির ছেলে। গ্রেফতারকৃত শিবির কর্মী ফখরুল ইসলাম রাজু একই বাড়ীর আবুল কালামের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, নিহত জামায়াত কর্মী হেলালসহ অপর দুই শিবির কর্মী ফখরুল ইসলাম রাজু ও রিয়াদ বসুরহাট গ্র্যান্ড হোটেলে চা খেতে যায়। এ সময় পুলিশের এসআই সালাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে তাদের ৩ জনকে আটক করা হয়। রাজু ও রিয়াদকে পুলিশের গাড়ীতে ওঠানোর পর হেলালকে তার নিজ চালিত মোটরসাইকেলে একজন কনষ্টেবলসহ রওনা দেয়। নিহত হেলাল মোটরসাইকেল নিয়ে থানায় প্রবেশ না করে দ্রুত গতিতে উপজেলা পরিষদের সামনে এসে মোটরসাইকেল রেখে পালাতে থাকে। এ সময় সে রাস্তায় অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেয়ার পর রাত প্রায় ১১টায় জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক হেলালকে মৃত ঘোষণা করে। অপরদিকে আটককৃত রিয়াদের বিরুদ্ধে কোন মামলা না থাকায় তাকে পুলিশ শনিবার সকালে ছেড়ে দেয়। শিবির কর্মী ফখরুল ইসলাম রাজুকে পুলিশ আহতের মামলায় সন্ধেহভাজন আসামি হিসেবে শনিবার সকালে তাকে নোয়াখালী জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসারা ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ মোঃ ফজলে রাব্বী সত্যতা স্বীকার করে জানান, বসুরহাট গ্র্যান্ড হোটেলে শিবিরের গোপন বৈঠক চলার খবর পেয়ে পুলিশ সন্দেহজনক হেলাল, রাজু ও রিয়াদ নামে ৩ জনকে আটক করে। রিয়াদের বিরুদ্ধে কোন মামলা না থাকায় তাকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। রাজুর বিরুদ্ধে কোন মামলা না থাকলেও পুলিশ আহতের একটি মামলায় সন্দেহজনক আসামি হিসেবে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপরজন হেলাল পুলিশের গ্রেফতার এড়িয়ে পালানোর সময় স্ট্রোক করে মৃত্যু বরণ করে।
বিডি প্রতিদিন/১৭ জুন ২০১৭/হিমেল