টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ১৩২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা করছেন শিক্ষকেরা। গত প্রায় ১০ মাস ধরে বিদ্যুৎ বিলের সরকারি বরাদ্দ না আসায় তারা এ আশঙ্কা করছেন। বিদ্যুৎ বিভাগ যাতে সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করে সে জন্য অধিকাংশ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা পরিষদের সদস্যরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বাধ্যতামূলক প্রতি মাসে ৫ টাকা করে নিয়ে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করছেন বলে জানা গেছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্র মতে, মির্জাপুরে ১৭০ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে সচল থাকা ১৬৯টি বিদ্যালয়ের মধ্যে বিদ্যুৎ-সংযোগ রয়েছে ১৩২ টি বিদ্যালয়ে। খুঁটির দূরত্বের কারণে ৩৭ টি বিদ্যালয়ের বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
১৩২টি বিদ্যালয়ের চলতি বছরে প্রায় সাত লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিলের চাহিদা রয়েছে। অথচ এ পর্যন্ত মাত্র সাড়ে তিন লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা বিভিন্ন বিদ্যালয়ের বিপরীতে কমবেশি করে ছাড় করা হয়েছে। তবে অধিকাংশ বিদ্যালয়েই এখন পর্যন্ত টাকা ছাড় করা হয়নি। এতে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা করছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে ১০ মাস ধরে তারা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করছেন। দ্রুত এ অবস্থার অবসান না হলে তাঁদের বিল পরিশোধ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. খলিলুর রহমান বলেন, দু'দফায় এ পর্যন্ত সাড়ে তিন লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। আরও বরাদ্দ পাওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। দ্রুত ওই বরাদ্দ পাওয়া যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিডি প্রতিদিন/১৭ জুন ২০১৭/হিমেল