বরগুনায় চিকিৎসার নামে রোগীদের সাথে প্রতারণার অভিযোগে ৩ পল্লী চিকিৎসককে আটক করে জরিমানা ও একজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের এ জরিমানা করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শরিয়ত উল্লাহ্।
জরিমানাপ্রাপ্তরা হলেন- বিধান চন্দ্র সরকার, ইদ্রিস আলম ও জাহাঙ্গীর হোসেন। এই তিনজন রোগী দেখার চেম্বার করতে পারবেন না বলে আদালত নির্দেশনা দেয়। এসব ব্যক্তিরা বিএমডিসি’র কোনো নিবন্ধন ছাড়া ডাক্তার পরিচয়ে বরগুনা শহরের বিভিন্ন ডিসপেনসারি এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বসে রোগীদেরকে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। এছাড়া জহিরুল ইসলাম সৌরভ নামের আরেকজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
জানা যায়, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন -২০১০ এর ২৯ ধারায় সেই ৩ জনকে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া জহিরুল ইসলাম সৌরভের বিরুদ্ধে নিয়মিত আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার রাতে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শরিয়াতুল্লাহর ভ্রাম্যমান আদালত এই আদেশ দেয়।
এ বিষয়ে বরগুনা ডিবি পুলিশের ওসি ইউনুস আলী ফরাজী বলেন, ‘বরগুনা পৌর শহরে চিকিৎসক না হয়েও কয়েক ব্যক্তি চিকিৎসক সেজে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করছিলেন। এমন অভিযোগে চারজনকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হয়।’
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ