তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিনাজপুরের বিরলে মারধর করায় কুলছুমা বেগম নামের এক নারী নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় আহত দু’জন দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শনিবার নিহত কুলছুমা’র পিতা ফজলুর রহমান বাদী হয়ে বিরল থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ এ ঘটনায় ২ জনকে আটক করেছেন।
কুলছুমা বেগম (৩৫) বিরল উপজেলার শহরগ্রাম ইউপি’র ওকড়া গ্রামের জামাল উদ্দিনের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বিরল উপজেলার শহরগ্রাম ইউপি’র ওকড়া গ্রামের শামসুল হকের পুত্র জামাল উদ্দিন, পুত্রবধূ কুলছুমা বেগম এর সাথে প্রতিবেশী মৃত জহুর মোহাম্মদের পুত্র মামনুর রশিদের সাথে শুক্রবার সন্ধ্যায় গাছের জাম পাড়কে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডা হয়। এর এক পর্যায়ে পুণরায় মামনুর রশিদ এবং তার আত্মীয়রা রাত ৯টায় দলবদ্ধ হয়ে কুলছুমা বেগমের পরিবারের উপর হামলা চালায়। এতে কুলছুমা বেগম, জামাল উদ্দিন ও বিলকিস বেগম গুরুতর আহত হয়।
আহতদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে পালিয়ে যায়। পরে প্রতিবেশীরা আহতদের উদ্ধার করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩টায় কুলছুমা বেগমের মৃত্যু হয়।
বিরল থানার ওসি আব্দুল মজিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানায়, গাছের জাম পাড়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত। মামলা হয়েছে। পুলিশ মামনুর রশিদ ও তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকে আটক করেছে।
বিডি প্রতিদিন/১৭ জুন ২০১৭/হিমেল