রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেছেন, বিএনপি ট্রেনে আগুন লাগিয়ে ট্রেন ব্যবস্থাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রেল মন্ত্রণালয়কে আলাদা মন্ত্রণালয়ের মর্যাদা দিয়েছে। খালেদা জিয়া ধ্বংস করেন আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গড়ে তোলেন। শনিবার দুপুরে পঞ্চগড় রেলওয়ে স্টেশনে আয়োজিত পঞ্চগড় থেকে দিনাজপুর পর্যন্ত শাটল ট্রেন উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, বর্তমানে রেলের ৪৫টি প্রকল্প চলছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম ডাবল লাইনের কাজ শেষ হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেল লাইন নির্মাণ করা হবে। এছাড়া পদ্মা সেতু দিয়ে রেল লাইন হবে। এ ব্যাপারে চায়নার একটি সরকারি কোম্পানীর সাথে বাংলাদেশ রেলওয়ের অচিরেই একটি চুক্তি হবে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি'র আমলে রেল লাইন ছিল জরাজীর্ণ। আমরা ক্ষমতায় এসে সংস্কার করেছি। নতুন নতুন রেল লাইন নির্মাণ করেছি। সৈয়দপুরে রেলওয়ে কারখানাকে রেল তৈরীর উপযোগী করে তোলা হবে। এর আগে রেলের জন্য বাজেট ছিল মাত্র ৫শ' কোটি টাকা। এবার অর্থমন্ত্রী রেলের জন্য বাজেট প্রস্তাব করেছেন ১৬ হাজার তের কোটি টাকা। আশাকরি ২৯ জুন বাজেটটি সংসদে পাশ হয়ে যাবে।
এদিকে স্থানীয়দের পূর্ণ ইন্টারারসিটি ট্রেনের দাবির মুখে তিনি বলেন, ইন্দোনেশিয়া থেকে নতুন বগি আসছে। আগামী ২০ তারিখের মধ্যে এ ব্যাপারে চুক্তি সই হলে এ মাসেই বগিগুলো চলে আসবে । বগিগুলো এলেই আপনারা ইন্টারসিটি ট্রেন পেয়ে যাবেন।
উল্লেখ্য, পঞ্চগড় থেকে ঢাকাগামী যাত্রীরা শাটল ট্রেনে করে দিনাজপুর গিয়ে দ্রুতযান এবং একতা এক্সপ্রেসের মাধ্যমে ঢাকা যেতে এবং আসতে পারবেন। এদিকে এই দুটি ট্রেনের টিকেট পঞ্চগড় এবং ঠাকুর গাঁওয়ে পাওয়া যাবে। তবে তা অত্যন্ত সীমিত। ঠাকুরগাঁওয়ে ২০টি, পঞ্চগড়ে দ্রুতযানের জন্য ২০ এবং একতা এক্সপ্রেসের জন্য মাত্র ৩৫ টি টিকেট বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এরই প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় নাগরিক কমিটি যৌথ উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার ট্রেন মার্চ ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। বিক্ষোভে বক্তারা শাটল ট্রেনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানকে প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানান।
বিডি প্রতিদিন/১৭ জুন ২০১৭/হিমেল