ঈদ আসতে আর মাত্র কয়েকদিন। ঈদকে সামনে রেখে দিনাজপুর শহর ছাড়াও পার্বতীপুর, হাকিমপুরসহ বিভিন্ন উপজেলা সদরের বিপণি বিতানগুলোতে ঈদের জমজমাট কেনাকাটা শুরু হয়েছে।
মূলত ১৫ রোজার পর থেকেই ঈদের জন্য নতুন পোশাক কিনতে শুরু করেছেন ক্রেতারা। এরপর ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে বাজার ততই জমে উঠছে। এবারও মেয়েদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ভারতের বিভিন্ন টিভি সিরিয়াল ও সিনেমা নায়িকাদের নামানুসারের পোশাকগুলো। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা কিরণমালা, বাহুবলী-টু ড্রেসের।
বিভিন্ন বিপণিতে দেশি পোশাকের পাশাপাশি ভারতীয় পোশাকও রয়েছে। ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে কিরণমালা, মায়ারবাধন, বাহুবলি-টু পোশাক। শিশু থেকে শুরু করে তরুণীদের এসব পোশাকের প্রতি বেশি ঝোঁক দেখা যাচ্ছে।
তবে পোশাকের আকাশছোঁয়া দামে বেকায়দায় ক্রেতারা। অল্প আয়ের মানুষ পোশাক কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। চড়া দাম হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশও করছেন অনেকে। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের দাবি, এবার তৈরি পোশাকের দাম ক্রেতাদের হাতের নাগালের মধ্যেই রয়েছে।
তবে শুধু পোশকা নয়, জুতার দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড় চলছে। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে রাত ১২টা পর্যন্ত চলে কেনাকাটা।
এছাড়াও গজ কাপড়ের দোকান, টেইলার্স ও লেডিস কর্নারগুলোয় সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে। রোজার শুরু থেকেই টেইলার্সগুলোয় কারিগরদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। দিনরাত সমানতালে কাজ করছেন তারা।
টেইলার্সের কারিগররা জানান, তারা সকাল ৮টা থেকে শুরু করে রাত ১টা পর্যন্ত পোশাক তৈরি করছেন। এমনটি চলবে চাঁদরাত পর্যন্ত।
পুলহাটের আসাদুজ্জামান লিটন জানায়, প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েছে, তবে মানুষের ক্রয় ক্ষমতাও বেড়েছে। এরই মধ্যে মেয়েদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে বাহুবলী-২।
পার্বতীপুরের মন্মথপুর ইউপির ভবের বাজার এলাকার কৃষক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, এ অঞ্চলে বোরো ধানের ফলন ও দাম দু'টিই ভালো পেয়েছি আমরা। তাছাড়া উপজেলা সদরের হাট বাজারগুলোতে এখন ভালো ভালো দোকানপাট গড়ে উঠায় চাহিদা মতো সব কিছু পাওয়া যাচ্ছে। তবে মেয়েদের পছন্দ বাহুবলী-২।
দেখা গেছে, প্রকারভেদে এক একটি থ্রি-পিসের দাম চাওয়া হচ্ছে ৫০০ থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। এছাড়া তৈরি পোশাক সর্বোচ্চ আট হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, এরই মধ্যে দিনাজপুর জেলার সীমান্তবর্তী শহর হিলিতে জমে উঠেছে ঈদের বাজার। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দিনাজপুরের সীমান্ত এলাকা হিলিতে গাড়ি নিয়ে পোশাক কিনতে আসছেন অনেক ক্রেতা। তবে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় এ দুদিন বেশি লোকজন আসে। এখানে ভারতীয় বিভিন্ন পোশাক কাপড় সুলভ মূল্যে পাওয়া যায় বলে জানান অনেক ক্রেতা।
বিডি-প্রতিদিন/১৭ জুন, ২০১৭/মাহবুব