শিমুলিয়া ঘাট বিড়ম্বনাহীন করতে শনিবার বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা সভা হয়েছে। শিমুলিয়া বিআইডব্লিউটিএর’র হলরুমের এই সভায় ঈদে ঘরমুখো মানুষ নির্বিঘ্নে ঘাট পার হতে পারে সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। সম্পূর্ণ চাঁদাবাজমুক্ত এবং অতিরিক্ত ভাড়াবিহীন এখানে নৌযান ও বাস চলাচল করবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ফিটনেসবিহীন লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে। শিমুলিয়া ঘাটে পর্যাপ্ত পুলিশ ও র্যাব ছাড়াও ২৪ ঘন্টা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অবস্থান করবে। ২৩ জুন থেকে ঈদের তিনদিন পর পর্যন্ত ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে। পরিকল্পিতভাবে যানবাহন পারাপার করা হবে বলে সভায় জানানো হয়।
জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানার সভাপতিত্বে এই সভায় আলোচনা করেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম পিপিএম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একেএম শওকত আলম মজুমদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) মো. সাইফুল ইসলাম, নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম, লৌহজং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মনির হোসেন, লৌহজং উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ব্যাপারী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ শামসুল তাকবীজ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিটন ঢালী, দৈনিক সভ্যতার আলো সম্পাদক মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল, বিআইডব্লিউটিসির এজিএম খন্দকার শাহ মো. খালেদ, বিআইডব্লিউটিএর উপ পরিচালক এসএম আজগর, কুমারভোগ ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান তালুকদার, মেদিনীমন্ডল ইউপি চেয়ারম্যান এবং স্পীডবোট ঘাট ইজারাদার আশরাফ হোসেন খান, মাওয়া বাস মালি সমিতির সভাপতি আলী হোসেন, গাংচিল পরিবহসের সভাপতি রহুল মোড়ল, জেলা তথ্য অফিসার মনির হোসেন, র্যাবের ডিএডি মোহাম্মদ শাহেদ, লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাক ভাস্কর চৌধুরী, শিমুলিয়া পোর্ট অফিসার মো. মহিউদ্দিন, পুলিশের বিশেষ শাখার ইন্সপেক্টর মো. নজরুল ইসলাম, লৌহজং থানার ওসি আনিচুর রহমান, ট্রাফিক ইনসপেক্টর ছিদ্দিকুর রহমান, মাওয়া নৌপুলিশের ইন্সটেক্টর আব্দুল মতিন, উজেলা আনাসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
শিমুলিয়া ঘাটে ভ্রাম্যমাণ ১০টি টয়লেট, ঈদের দিনের বিশেষ জামাত, শিমুলয়া ফেরিঘাটের চারটি পন্টুনই সচল রাখা হবে এবং ৪টি রো রো ফেরিসহ ৯টি ফেরি চলাচল করবে।
শিমুলিা-ঢাকা সড়কর বাস সার্ভিস উন্নত করা ছাড়াও অতিরিক্ত ভাড়া বা যাত্রী বহন না করা এবং মলম পার্টি এবং অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্মের বিষয়েও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
গাড়ি পার্কিং এবং ফেরিতে যানবাহন উঠা নামা এবং লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচলে পৃথক পৃথক কমিটি গঠন করা হয়।
এছাড়া ২৩ জুন থেকে ঈদের তিন দিন পর্যন্ত শিমুলিয়াগামী ট্রাকগুলোকে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের সিরাজদিখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া কলেজ মাঠে পার্কিং করা হবে। সুযোগ মত ঘাটের নির্দেশনা অনুযায়ী এসব ট্রাক ফাঁকে ফাঁকে পার করা হবে বলে সভায় জানানোহয়।
উত্তাল পদ্মায় যাতে জীবনে ঝুঁকি নিয়ে কোন নৌযান চলাচল করতে না পারে সেব্যাপারে কাঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়।
এছাড়া স্পিডবোটের লাইফ জ্যাকেট পরিচ্ছন্ন রাখার সিদ্ধান্ত হয়। লঞ্চ ছাড়ার মুহূর্তে প্রার্থনা দিয়ে যাত্রা শুরু করা এবং লঞ্চের প্রয়োজনীয় বয় এবং অন্যান্য সরঞ্জমাদি ব্যবহারে সিদ্ধান্ত হয়।
বিডি-প্রতিদিন/১৭ জুন, ২০১৭/মাহবুব