সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার দুই উদ্যোক্তাকে ডিজিটাল সেন্টারে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। এ ব্যাপারে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে সোমবার লিখিত অভিযোগ করেছেন বোদা উপজেলার ঝলইশালশীরী ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা নবরঞ্জন দে এবং পাপড়ী রানী।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, ভোট কেন্দ্রিক পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই দুই উদ্যোক্তাকে গত দেড় বছর ধরে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে কাজ করতে দিচ্ছেন না ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন। অভিযোগকারীরা জানান, ইউনিয়ন পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের দিন ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে কর্মরত উদ্যোক্তাদের সাথে চুক্তি সম্পাদন করার জন্য সরকারি নির্দেশনা রযেছে। কিন্তু বর্তমান চেয়ারম্যান ঐ নির্দেশনাকে অবহেলা করে তার মনোনীত এক ব্যক্তিকে প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা বেতন দিয়ে কাজ করিয়ে নিচ্ছেন। এই ডিজিটাল সেন্টার থেকে উপার্জিত বাকি টাকা তিনি নিজে আত্মসাৎ করছেন বলেও তারা অভিযোগ করেছেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ঐ ডিজিটাল সেন্টারে মাসিক আয় হয় বিশ থেকে পঁচিশ হাজার টাকা। উদ্যোক্তা নবকুমারের অভিযোগ তাদের পূর্বের পারিবারিক ও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের কারণেই চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করছেন না ঐ চেয়ারম্যান। ডিজিটাল সেন্টারে কাজ করতে না পেরে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে অসহায় দিন যাপন করছেন। বিষয়টি লিখিতভাবে জেলা প্রশাসকের নজরে আনা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জেলা প্রশাসক নিজে চুক্তি সম্পাদনের জন্য চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেন। কিন্তু এরপরও চেয়ারম্যান কোন পদক্ষেপ নেননি।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মুঠোফোনে জানান, নবরঞ্জন দে’র সাথে চুক্তি রয়েছে কিন্তু পাপড়ি রানীর সাথে চুক্তি নেই। নবরঞ্জনকে যোগদানের জন্য জেলা প্রশাসক এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের চিঠি পেয়েছি এটা ঠিক। কিন্তু নবরঞ্জনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। সে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করে বিভিন্ন অবৈধ কাজ করেছে। এসব বিষয় আমি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছি ।
বিডি প্রতিদিন/১৯ জুন ২০১৭/হিমেল