নেত্রকোনায় জমে উঠেছে ঈদের বাজার। তবে বাজারে ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশি থাকলেও বিক্রেতারা সন্তোষ্ট নন। শহরের বড় বড় শপিং মলগুলোতে ভীড় কিছুটা কম থাকলেও কম দরের বিপনী বিতানগুলোতে উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। বাজার দর নিয়ে ক্রেতারা সন্তোষ প্রকাশ করলেও বিক্রেতারা সন্তুষ্ট নয়।
জানা যায়, অকালে হাওর ডুবে ফসলহানির ফলে নেত্রকোনা জেলা দুর্যোগপূর্ণ আবহওয়ায় কম দামের কাপড় বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। তারপরও বাজারগুলোতে ভীড় জমেছে। বাজারে শুধু শহরের মানুষ ছাড়া হাওরাঞ্চলের মানুষ তেমন দেখা যাচ্ছেনা বলে বিক্রেতা জানিয়েছেন। বিক্রেতা আবুল কাশেম জানান, এবছর কম দামি কাপড়টাই একটু বেশি যাচ্ছে। হাওরাঞ্চল খালিয়াজুরী, মোহনগঞ্জ, মদন এই তিন উপজেলার কোন ক্রেতাই নেই।
জয়নগর থেকে আগত শাহনাজ, পারভীন ও ছোটন বলেন, একদরের দোকানগুলোতে অস্বাভাবিক দাম লেখা। কোন দরদাম করা যায় না। অনেক সময় পছন্দ হলেও ফিরে যেতে হয়। তবে অন্য দোকানগুলোতে দর কষাকষি করা যায়। কিছুটা আয়ত্বের ভিতরে রেখে কেনা যায়।
শহরের বড় বাজার চৌধুরী মার্কেট, হাশেম প্লাজা, সোনালী, কাশেম ক্লথ ষ্টোর, জোনাকী, আচঁল, প্রিয়াঙ্গন, লিলি গার্মেন্টস, মুন্না গার্মেন্টসসহ এক দরের দোকানগুলোতেও জমেছে ঈদের বাজার। এছাড়াও নতুন নতুন কিছু বিপনী বিতানেও ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
অন্যদিকে রংধনু, শশাংকসহ মোক্তারপাড়া, ছোট বাজার জুরে সবগুলো বিপনী বিতানেই ক্রেতাদের ভীড় রয়েছে। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে অধিকাংশ একদরের বিপণী বিতান ও শপিংমলগুলো সেজেছে নানা সাজে। রয়েছে দেশি-বিদেশি নানান পোশাকের সমাহার। নারীদের পোশাকের মধ্যে ক্রেপ ফুলটাচ, শিপন, পাগলু, ঝিলিকসহ বিভিন্ন থ্রি-পিস ও নকশি কাঁথার ডিজাইনের চাহিদা এ বছর বেশি।
বিডি প্রতিদিন/১৯ জুন ২০১৭/হিমেল