মেহেরপুর ও কুষ্টিয়া দুই মালিক সমিতির দ্বন্দ্বের জের ধরে গত ৪ দিন ধরে আন্তঃজেলা সড়কে সরাসরি যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। গত শুক্রবার সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে রেখেছে উভয় মালিক সমিতি। একারণে মেহেরপুর ও কুষ্টিয়া জেলার বাস উভয় জেলার শেষ সিমানা খলিশাকুন্ডি পর্যন্ত চলাচল করছে। ঈদকে সামনে রেখে সরাসরি বাস চলাচল না করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা।
মেহেরপুর জেলা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসূল জানান, কুষ্টিয়া জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে মুজিবনগর ভায়া রাজশাহী রুটে একটি বাস চলাচলের অনুমতি চাই। মেহেরপুর জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জহুরুল ইসলাম অনুপস্থিত থাকা ও সামনে ঈদ হওয়ার কারণে বিষয়টি সূরহা করার জন্য ঈদের পরে বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানানো হয় কুষ্টিয়ার নেতৃবৃন্দকে। তারা কোন কথায় কর্নপাত না করে হুট করে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়।
কুষ্টিয়া শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাহবুল আলম বলেন, মুজিবনগর ভায়া রাজশাহী রুটে একটি বাস চলাচলের জন্য অনুমতি চাইলে মেহেরপুর জেলা মালিক সমিতি বেশ কয়েক মাস যাবৎ টালবাহানা শুরু করে। নানা অজুহাতে দিনের পর দিন সময় পার করতে থাকে। এ নিয়ে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর মালিক ও শ্রমিক সমিতির মধ্যে চিঠি চালাচালি হলেও কোন কর্নপাত করেনি। হঠাৎ করে গত বৃহস্পতিবার রাতে মেহেরপুরে থাকা কুষ্টিয়ার সকল বাস ফেরত পাঠায়। এসময় কুষ্টিয়ায় থাকা মেহেরপুর মালিক সমিতির সকল বাস নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ঈদ কে সামনে রেখে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে সরাসরি বাসচলাচল না যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা ভেবে বাস চলাচলের আহবান জানানো হলেও তাতেও কর্নপাত করেনি মেহেরপুর জেলা মালিক সমিতি।
মেহেরপুর জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান জানান, সরাসরি বাস চলাচলের কিংবা বন্ধ করার বিষয়টি দুই মালিক সমিতির। এতে শ্রমিকদের কোন কিছু করার নেই।
গাংনীর লাল্টু মিয়া নামের এক বাস যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, দুই মালিক সমিতির দ্বন্দ্বের জেরে সাধারণ মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছে। জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান করতে প্রশাসন ও মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান। মেহেরপুর জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ জানান, পুনরায় সরাসরি বাস চলাচলে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার