সৌদি আরবসহ মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোর সাথে মিল রেখে ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে হযরত সুরেশ্বরী এর ভক্ত অনুসারী মাদারীপুরের ৫০ গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ আজ ঈদ উল ফিতর উদযাপন করছেন। সুরেশ্বর দরবার শরীফের পীর খাজা শাহ সূফী সৈয়দ নূরে আক্তার হোসাইন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সুরেশ্বর দরবার শরীফের গদীনশীন পীর জানান, আন্তর্জাতিক চাঁদ দেখা কমিটির হিসাব ও সিদ্ধান্ত মোতাবেক শনিবার সৌদি আরবসহ মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে চাঁদ দেখা যাওয়ার ভিত্তিতে আজ রবিবার ঐসব দেশে ঈদ উল ফিতর উদযাপন করা হচ্ছে।
মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচ খোলা ইউনিয়নের চরকালিকাপুর, মহিষেরচর, পূর্ব পাঁচখোলা, জাজিরা,বাহেরচর, কাতলা, তাল্লুক, কুনিয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর, কালকিনি উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়নের আন্ডারচর, কয়ারিয়াসহ অর্ধ শতাধিক গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার লোক আজ পবিত্র ঈদ উল ফিতর উদযাপন করছেন।
ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে মাদরীপুর সদর উপজেলার চরকালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ ও কালকিনির আন্ডারচর খানকায় শরীফ মাঠে সকাল ৯ টায় ঈদের বৃহৎ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। চরকালিকাপুর ঈদের জামাতে ঈমামতি করেন মাস্টার আবুল হাসেম মিয়া ও আন্ডারচর খানকায় শরীফ মাঠের ঈদের জামাতে ঈমামতি করেন মাওলানা মোকসেদ মিয়া। এ সকল গ্রামের মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ বিরাজ করছে।
সুরেশ্বর পীরের ভক্তদের মতে, ইসলাম ধর্মের সবকিছুই মক্কা শরীফ হয়ে বাংলাদেশে এসেছে। তাছাড়া মক্কা শরীফ থেকে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য মাত্র ৩ ঘণ্টা। তাই মক্কাবাসী যেদিন রোজা রাখেন তারাও সেদিন থেকে রোজা করে থাকেন। তারা মনে করেন, ৩ ঘণ্টা সময়ের পার্থক্যের জন্য ২৪ ঘন্টা পার্থক্য মানা যুক্তিযুক্ত নয়।
উল্লেখ্য, সুরেশ্বর দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত জান শরীফ শাহ্ সুরেশ্বরী (রাঃ) এর অনুসারীরা ১৪৬ বৎসর পূর্ব থেকে সৌদি আরবসহ মধ্য প্রাচ্যের সাথে মিল রেখে রোজা রাখেন এবং ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদ উল আযহা পালন করে আসছেন।
বিডি প্রতিদিন/২৫ জুন ২০১৭/হিমেল