জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চলা সংস্কার কার্যক্রমে আলোচনার চেয়ে খাওয়া-দাওয়া বেশি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের বীজ রোপিত হয়েছিল বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। আমরা জানতাম এ স্বৈরাচারের পতন হবেই, তবে সেটা ঠিক কখন, কীভাবে এবং কোন পন্থায় ঘটবে- সেটা আমাদের জানা ছিল না। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্যের ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, ভাসানী জনশক্তি পার্টির শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, সিপিবির রুহিন হোসেন প্রিন্স, গণসংহতি আন্দোলনের আবুল হাসান রুবেল, গণফোরামের মোহাম্মদ উল্লাহ মধু, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সংস্কার প্রশ্নে বিএনপি সরকারকে সহযোগিতা করছে। দশ বছরের বেশি কেউ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না- এ প্রস্তাবে বিএনপি সম্মত হয়েছে। এখান থেকেই ফ্যাসিবাদ প্রতিহত করার সূচনা হয়েছে। এখন প্রয়োজন বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। কারণ একটি স্বাধীন বিচার বিভাগই পারে গণতন্ত্রের প্রকৃত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে। বিএনপি স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, গণতন্ত্র রক্ষায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অপরিহার্য। গণমাধ্যমকর্মীরা যেন মালিকের নয়, বিবেকের পক্ষ থেকে কাজ করেন, তা নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসেবে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করে বিএনপির এ কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, একটি নিরপেক্ষ ও কার্যকর নির্বাচন কমিশন যদি সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে, তবে ফ্যাসিবাদ প্রতিহত করা সম্ভব। শুধু নির্বাহী বিভাগকে দুর্বল করলেই চলবে না- ফ্যাসিবাদী কাঠামো ভাঙতে প্রয়োজন সব রাষ্ট্রীয় অঙ্গের জবাবদিহিতা ও ভারসাম্য নিশ্চিত করা। মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমি শুধু আপনাদের সবাইকে বলব, চোখ কান খোলা রাখবেন, খরগোশের মতো কানগুলো যাতে সব সময় সতর্ক থাকে। আজ সত্যি সত্যি কি হতে যাচ্ছে- সেটি জানার জন্যই চোখ কান খোলা রাখতে হবে।