দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘সরকারের উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে তাঁদেরও ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। অন্তর্বর্তী সরকার কোনো রাজনৈতিক সরকার নয়। এর নেতৃত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন দুর্নীতিবিরোধী মানুষ। তাঁর উপদেষ্টামণ্ডলীর কেউ যদি দুর্নীতিগ্রস্ত হন, তবে তাঁকেও বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।’
গতকাল সকালে রংপুর মহানগরে দুদক সমন্বিত জেলা ও বিভাগীয় কার্যালয়ের ভবন নির্মাণকাজের উদ্বোধন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সালসহ দুদক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে অনেক ধরনের দুর্নীতি আছে। সরকারি লোক, সরকারি অর্থ, টাকাপয়সা পাচার, অবৈধ আয় এগুলোর মধ্যেই আমরা থাকার চেষ্টা করছি। এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।’ তিনি বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা চলমান। আরও কয়েকটি বিষয় তদন্তাধীন। তদন্ত করে যদি প্রমাণিত হয়, তবে আমরা মামলা-মোকদ্দমায় চলে যাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে অনেক মামলা আদালতে ঝুলে আছে। শুধু দুদকের জন্য নয়, আদালতেরও কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে। অবশ্যই আমরা চাইব যেন ঝুলে থাকা মামলাগুলো দ্রুত শেষ হয়। দুদকের কাজ মামলার বিচার করা নয়, মামলা প্রস্তুত করে আদালতে দেওয়া। আমরা আদালতকে অনুরোধ করব যেন মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করে দেন।’
পরে রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আয়োজিত ‘দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন দুদক চেয়ারম্যান। বিভাগীয় কমিশনার মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী প্রমুখ। রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তারা এতে অংশগ্রহণ করেন।