হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে গোপালগঞ্জে শুরু হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। তাই ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পী ও আয়োজকরা। ইতিমধ্যে খড়, মাটি আর দো-মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। সেই সাথে পূজা মণ্ডপ তৈরি থেকে শুরু করে আনুসাঙ্গিক কাজে ব্যস্ত রয়েছেন আয়োজকেরা।
আর কয়েকদিন পরেই কাশ ফুল ফোটা শরতের শারদীয়া দূর্গোৎসবে ঢাকের বাজনা, উলুধ্বনি ও আরতীতে মুখরিত হবে পাড়া-মহল্লা ও গ্রাম। এবছর দেবী দূর্গা নৌকায় চড়ে পৃথিবীতে আসবেন। যাবেন ঘোড়ায় চড়ে। আগামী ২৬ অক্টোবর মহা ষষ্ঠিতে দেবী বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে পূজার অনুষ্ঠিকতা। এ বছর গোপালগঞ্জ জেলায় রেকর্ড ১ হাজার ১শ ৫৩টি মণ্ডপে পুঁজা অনুষ্ঠিত হবে। মণ্ডপগুলোতে খড় ও কাঁদা মাটি দিয়ে পরম যত্নে গড়ে উঠছে প্রতিমা। আর কয়েকদিন পরই রং তুলির টানে প্রতিমাগুলো ফুটিয়ে তুলতে ব্যস্ত সময় কাটাবে মৃৎ শিল্পীরা। এবছর এক-একজন ভাস্কর ২ থেকে ৪টি করে প্রতিমা তৈরি করেছেন। তবে বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি হলেও প্ররিশ্রমিক কম বলে জানালেন তারা।
এদিকে, শারদীয়া দূর্গা পূজা উপলক্ষে মণ্ডপ তৈরি থেকে শুরু করে আনুসাঙ্গিক কাজে ব্যস্ত রয়েছেন আয়োজকেরা। জাঁক-জমকভাবে পূজা আর দর্শনার্থীদের আনন্দ দিতে মণ্ডপ আর সড়ক গুলোতে অলোক সজ্জার কাজ শুরু করেছেন তারা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বজায় রেখে এবছরও ব্যাপক আড়ম্বের সাথে দূর্গাউৎসব পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ অসিত কুমার মল্লিক অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই পূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন এবং ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপগুলোর তালিকা করে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে বলেও তিনি জানান।
গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) মোঃ আমীনূল ইসলাম বলেছেন, শান্তিপূর্ণ ভাবে পূজা উদযাপন করতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি আনসার ও নিরাপত্তায় কাজ করবে বলে তিনি জানান।
বিডি-প্রতিদিন/১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭/ওয়াসিফ