শিরোনাম
- ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে: আমিনুল
- ইমন-হৃদয়-তানভীরের ত্রয়ী দাপট কলম্বোতে
- শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ
- মান্না ছিলেন বাংলাদেশের জেমস বন্ড: জাহিদ হাসান
- জ্ঞানীরা পিআর সিস্টেমে নির্বাচন চায় : ফয়জুল করিম
- পাহাড়ি ফল ঐতিহ্যের অংশ : উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
- পল্লী বিদ্যুতের সাব-যোনাল অফিস স্থানান্তরের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ
- প্রবাসী ভাইয়ের লাশ আনতে গিয়ে প্রাণ গেল দুই ভাইয়ের
- নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে : নার্গিস বেগম
- বিচার ও সংস্কারের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে হবে : নাহিদ
- চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের আনন্দ মিছিল
- উত্তাল বঙ্গোপসাগরে আশ্রয় নিল শত শত ট্রলার, চার বন্দরে সতর্কতা
- বিএনপি নামলে নির্বাচন পেছানোর সাহস কারো নেই : গয়েশ্বর
- পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ফ্যাসিজমের রাস্তা বন্ধ হবে : জামায়াত আমির
- রূপগঞ্জে কুপিয়ে আহত ইলেকট্রিশিয়ানের মৃত্যু
- কুড়িগ্রামে কঠোর নিরাপত্তায় উল্টো রথ যাত্রা উদযাপন
- মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল
- চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক
- তিন ম্যাচ জিতেই এশিয়া কাপে বাংলাদেশ
- সুশান্তের পর টার্গেট কার্তিক!
২ দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই
রায়পুরে টানা বর্ষণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি, ৭ গ্রাম প্লাবিত
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি :
অনলাইন ভার্সন
.jpg)
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ৩ দিনের টানা বর্ষণ ও মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে উপকূলীয় ৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি আটকে থাকার কারণে বেড়িবাঁধের বাহিরের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
গত ৩ দিনের টানা বৃষ্টি ও মেঘনা নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপকূলীয় গ্রামগুলো জোয়ারে প্লাবিত হওয়ায় ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এদিকে ঝড় ও বৃষ্টির কারনে বিদ্যুৎতের খুঁটি পড়ে তার ছিঁড়ে যাওয়ার কারনে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ২ দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই। ফলে চরম বিপাকে পড়েছে গ্রামাঞ্চলের লোকজন।
প্লাবিত গ্রামগুলো হলো, জালিয়ার চর, হাজীমারা, কুচিয়ামোড়া, চরলক্ষ্মী, চর কাচিয়া, চর ঘাশিয়া, টুনুর চরসহ ৭টি গ্রাম। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টি ও ঝড় বয়ে যাওয়ার কারনে গাছপালা, কাঁচা ও আধাপাকা ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন গৃহপালিত পশু ও বৃদ্ধ এবং শিশুরা। মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে আমন ধানের মাঠ, আমন ধানের বীজতলা ও শীতকালীন শাকসবজির বীজ পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এছাড়া পুকুর ও ঘেরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। তবে কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানাতে পারেননি উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মাষ্টার জানান, কয়েক বছরের মেঘনা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে অনেক ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া মসজিদ ও দু'টি বিদ্যালয় ইতিমধ্যে মেঘনা গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী ভাঙ্গনের হুমকিতে রয়েছে আরও কয়েক’শ একর ফসলি জমি।
এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিল্পী রানী রায় জানান, টানা বর্ষণ ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধির কারণে বেশ কিছু কাঁচা ও আধাপাকা ঘরবাড়ি ও সড়কের গাছসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নির্ধারণের কাজ চলছে।
অন্যদিকে রায়পুর পল্লীবিদ্যুৎ কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক সুদাশ চন্দ্র রক্ষিত বলেন, অতিরিক্ত লোকজন নিয়ে খুব দ্রুত গতিতে বিদ্যুৎ মেরামতের কাজ করা হচ্ছে। তবে ইউনিয়নগুলোতে বিদ্যুৎ পেতে আরও দু’ একদিন সময় লাগতে পারে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২১ অক্টোবর, ২০১৭/ ওয়াসিফ
এই বিভাগের আরও খবর