শিরোনাম
- নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে দেশের ভবিষ্যৎ : ইসি আনোয়ারুল
- একনেকে ৭ হাজার ১৫০ কোটি টাকার ১২ প্রকল্প অনুমোদন
- মার্কিন শাটডাউনের সম্ভাবনায় বিশ্ববাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি
- পুরান ঢাকায় গুলিতে নিহত ব্যক্তি 'শীর্ষ সন্ত্রাসী' মামুন: পুলিশ
- পুরান ঢাকায় সিনেমা স্টাইলে গুলি, যা দেখা গেল সিসি ক্যামেরায়
- ২০২৬ সালের সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি
- দেশের সব জায়গায় চাঁদাবাজি হচ্ছে: ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন
- সেবাগ্রহীতাদের সাথে দুর্ব্যবহার করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে
- পুরান ঢাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত ব্যক্তির পরিচয় মিলেছে
- খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিদেশ সফরে যাওয়ায় আমাকে প্লট দেওয়া হয়নি : রবি চৌধুরী
- গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা
- জিএমপির সাবেক কমিশনার নাজমুল করিম খান বরখাস্ত
- আসুন সবাই মিলে বাংলাদেশকে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক দেশে পরিণত করি : মঈন খান
- দশম গ্রেডসহ তিন দাবি, তৃতীয় দিনের মতো শহীদ মিনারে প্রাথমিক শিক্ষকদের অবস্থান
- ভদ্ররা চুপ থাকে, অভদ্ররা ভাবে জবাব দিতে পারে না : প্রভা
- পদ্মার চরে ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’, গ্রেপ্তার ৬৭
- কম্পিউটার চালু হতে সময় লাগে, এই সময়ের বেতন দাবিতে কর্মীদের মামলা
- বসুন্ধরা আবাসিকে ‘হেরিটেজ সুইটস’-এর তৃতীয় শাখা উদ্বোধন
- এমপি হলেও আছি, না হলেও আপনাদের পাশে আছি : শামীম
- অস্ট্রেলিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
২ দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই
রায়পুরে টানা বর্ষণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি, ৭ গ্রাম প্লাবিত
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি :
অনলাইন ভার্সন
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ৩ দিনের টানা বর্ষণ ও মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে উপকূলীয় ৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি আটকে থাকার কারণে বেড়িবাঁধের বাহিরের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
গত ৩ দিনের টানা বৃষ্টি ও মেঘনা নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপকূলীয় গ্রামগুলো জোয়ারে প্লাবিত হওয়ায় ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এদিকে ঝড় ও বৃষ্টির কারনে বিদ্যুৎতের খুঁটি পড়ে তার ছিঁড়ে যাওয়ার কারনে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ২ দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই। ফলে চরম বিপাকে পড়েছে গ্রামাঞ্চলের লোকজন।
প্লাবিত গ্রামগুলো হলো, জালিয়ার চর, হাজীমারা, কুচিয়ামোড়া, চরলক্ষ্মী, চর কাচিয়া, চর ঘাশিয়া, টুনুর চরসহ ৭টি গ্রাম। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টি ও ঝড় বয়ে যাওয়ার কারনে গাছপালা, কাঁচা ও আধাপাকা ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন গৃহপালিত পশু ও বৃদ্ধ এবং শিশুরা। মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে আমন ধানের মাঠ, আমন ধানের বীজতলা ও শীতকালীন শাকসবজির বীজ পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এছাড়া পুকুর ও ঘেরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। তবে কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানাতে পারেননি উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মাষ্টার জানান, কয়েক বছরের মেঘনা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে অনেক ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া মসজিদ ও দু'টি বিদ্যালয় ইতিমধ্যে মেঘনা গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী ভাঙ্গনের হুমকিতে রয়েছে আরও কয়েক’শ একর ফসলি জমি।
এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিল্পী রানী রায় জানান, টানা বর্ষণ ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধির কারণে বেশ কিছু কাঁচা ও আধাপাকা ঘরবাড়ি ও সড়কের গাছসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নির্ধারণের কাজ চলছে।
অন্যদিকে রায়পুর পল্লীবিদ্যুৎ কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক সুদাশ চন্দ্র রক্ষিত বলেন, অতিরিক্ত লোকজন নিয়ে খুব দ্রুত গতিতে বিদ্যুৎ মেরামতের কাজ করা হচ্ছে। তবে ইউনিয়নগুলোতে বিদ্যুৎ পেতে আরও দু’ একদিন সময় লাগতে পারে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২১ অক্টোবর, ২০১৭/ ওয়াসিফ
এই বিভাগের আরও খবর