বলিউডের গ্ল্যামারাস জগতে পর্দার জাদুর গল্পগুলো প্রায়শই ক্যামেরার পেছনের উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্তগুলোকে ঢেকে দেয়। কিন্তু মাঝে মাঝেই এমন একটি ঘটনা ঘটে, যা সিনেমার সেটের একটি ভিন্ন দিক প্রকাশ করে। কখনো কখনো তা দুই তারকার কথা কাটাকাটির কথা বলে। এমনই একটি মুহূর্তে দুটি বড় নাম জড়িত ছিল। একজন অমরিশ পুরি এবং আরেকটি কে জানেন?
অনায়াসে কমিক টাইমিং এবং নাচের জন্য পরিচিত তারকা গোবিন্দা শ্যুটিংয়ে দেরিতে পৌঁছনোর জন্যও কুখ্যাত। বিপরীতে ছিলেন অমরিশ পুরি। একজন অভিনেতা যিনি কেবল তার দুর্দান্ত পর্দা উপস্থিতির জন্যই নয়, পর্দার বাইরেও তার সময়ানুবর্তিতা এবং পেশাদারিত্বের জন্যও সম্মানিত ছিলেন।
একদিন একটি সিনেমার শ্যুটিং চলাকালে এই দুই বিপরীতমুখী ব্যক্তিত্বের মধ্যে ঝামেলা হয়, যা ইন্ডাস্ট্রিতে দীর্ঘস্থায়ী আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে।
শোনা যায়, অমরিশ পুরি সকাল ৯টায় শ্যুটিংয়ের জন্য প্রস্তুত হয়ে সেটে এসে পৌঁছেছিলেন। কলাকুশলী এবং অন্যান্য অভিনেতারা অপেক্ষা করেছিলেন, কিন্তু গোবিন্দা ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও আসেননি।
প্রায় ৬টা নাগাদ নয় ঘণ্টার যন্ত্রণাদায়ক অপেক্ষার পর অবশেষে গোবিন্দ হাজির হন। জানা যায়, এই দেরির ফলে দুজনের মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্ব শুরু হয়। রেগে গিয়ে আচমকা অমরিশ পুরি সেটে জনসমক্ষে গোবিন্দাকে কষে চড় মেরেছিলেন বলেও জানা যায়।
ঘটনাটি ব্যক্তিগত বিদ্বেষের চেয়ে বরং কাজের প্রতি অমরিশ পুরির কঠোর মনোভাবের কারণেই বেশি ছিল। তিনি সময়ানুবর্তিতা এবং সময়ের প্রতি শ্রদ্ধার মূল্যবোধকে সমুন্নত রেখেছিলেন। গোবিন্দের বারবার বিলম্ব স্পষ্টতই এই প্রবীণ অভিনেতাকে তার সীমার মধ্যে ঠেলে দিয়েছিল।
এই ঝগড়ার ফলে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর আগ্রহ তৈরি হয়েছিল। বিশেষ করে যেহেতু উভয় অভিনেতাই পরবর্তীতে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ চালিয়ে যান। যদিও গোবিন্দা এই ঘটনায় বিরক্ত হয়েছিলেন এবং এমনকী কিছু সময়ের জন্য আবার অমরিশ পুরির সঙ্গে কাজ করতে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। তবুও তারা কখনও তাদের মতপার্থক্য প্রকাশ্যে আনেননি।
বিডি প্রতিদিন/কেএ