মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত বিলটিতে স্বাক্ষর করেছেন, যা কংগ্রেসে অল্প ব্যবধানে পাস হওয়ার একদিন পর আইনে পরিণত হলো।
শুক্রবার বিকেলে হোয়াইট হাউসে এক উৎসবমুখর অনুষ্ঠানে বিলটিতে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। এতে তার এজেন্ডার কয়েকটি মূল দিক—কর হ্রাস, প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বৃদ্ধি এবং অভিবাসন দমন কার্যক্রম—আইন হিসেবে কার্যকর হলো।
স্বাধীনতা দিবসের আতশবাজি ও সামরিক পিকনিকের আগে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সম্প্রতি ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানো পাইলটরাও।
সমর্থকদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, এই বিল যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করবে। তবে এখন তার সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আমেরিকান জনগণকে বিলটির প্রভাব নিয়ে বিশ্বাস করানো, কারণ জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে—অনেকেই বিলটির কিছু অংশ নিয়ে অসন্তুষ্ট।
ট্রাম্পের নিজ দলের কয়েকজন রিপাবলিকান সদস্যও এতে আপত্তি তুলেছেন, কারণ তাদের আশঙ্কা বিলটি মার্কিন ঋণ আরও বাড়াবে। ডেমোক্র্যাটরা বলছেন, এই আইন ধনীদের পুরস্কৃত করবে এবং দরিদ্রদের ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
এর আগে ক্যাপিটল হিলে দীর্ঘ অধিবেশনের পর বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি ২১৮ বনাম ২১৪ ভোটে পাস হয়। এর আগে মঙ্গলবার সিনেটে এটি মাত্র এক ভোটের ব্যবধানে অনুমোদিত হয়েছিল।
ট্রাম্প রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসকে এই বিল ৪ জুলাইয়ের মধ্যে তাকে চূড়ান্তভাবে পাঠাতে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন, যাতে তিনি এটিকে আইনে পরিণত করতে পারেন। সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/নাজিম