ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার কেন্দ্রীয় শহর ‘গাজা সিটি’ দখল করতে আরও ৬০ হাজার রিজার্ভ সৈন্য মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। এর মাধ্যমে উপত্যকাটিতে যুদ্ধের মাত্রা আরও বৃদ্ধি করতে যাচ্ছে ইহুদিবাদী ভূখণ্ডটি।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ভয়াবহ হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। প্রায় দুই বছর ধরে চলা এই আগ্রাসন থামাতে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো যখন নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখনই এমন ভয়াবহ ঘোষণা দিল তেল আবিব।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলকাগুলোকে টার্গেট করে এই অভিযান পরিচালনা করবে তারা। এ জন্য ২০ হাজার সেনার চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি করার পরিকল্পনাও নিয়েছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। এই পদক্ষেপ গাজায় চলমান মানবিক সংকটকে আরও গভীর করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইতোমধ্যেই নতুন সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। ধাপে ধাপে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন এক সামরিক কর্মকর্তা। ইতোমধ্যেই জাইতুন এবং জাবালিয়ায় প্রাথমিক অভিযান শুরু হয়েছে। এই এলাকাগুলোতে আগে ইসরায়েলি সেনারা প্রবেশ করেনি।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো সতর্ক করেছে যে, এমন বৃহৎ আকারের সামরিক অভিযান গাজার পরিস্থিতিকে আরও শোচনীয় করে তুলবে। সেখানকার বেশিরভাগ বাসিন্দা একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, এবং বর্তমানে তারা খাদ্য ও চিকিৎসার অভাবে ভুগছেন। ইসরায়েলি হামলায় বহু বাড়িঘর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার বাসিন্দারা সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাদের আশঙ্কা, এই অভিযানে লাখ লাখ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করা হবে এবং তাদের ভূখণ্ডের দক্ষিণে নির্ধারিত তথাকথিত ‘নিরাপদ অঞ্চলে’ আশ্রয় নিতে বাধ্য করা হবে, যা কার্যত এক ধরনের কনসেনট্রেশন জোন।
মঙ্গলবার রাতে গাজা সিটিতে ইসরায়েলি বিমান এবং ড্রোন হামলা আরও তীব্র হয়েছে। হামলায় বাড়িঘর এবং তাঁবু শিবিরগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। সূত্র: আল-জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/একেএ