আগামী মাসে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এ নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়েন চলছে। সেই সঙ্গে চলছে উভয় দেশের বাগযুদ্ধ। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি আরও সহমর্মিতার দৃষ্টান্ত দেখালো ক্যানবেরা।
পাবলিক ব্রডকাস্টার এবিসি’র রেডিও ন্যাশনালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টনি বার্ক বলেছেন, “ফিলিস্তিনিরা এই মুহূর্তে বিশ্বের কাছে অদৃশ্য। তাদের বলতে চাই-তোমরা অদৃশ্য নও। আমরা তোমাদের দেখতে পাচ্ছি। আমরা তোমাদের চিনব, আমরা তোমাদের স্বীকৃতি দিব এবং আমরা সেই পদক্ষেপ নেব, যা অস্ট্রেলিয়া সবসময় বিশ্বাস করে আসছে।”
তিনি আরও বলেন, “অস্ট্রেলীয় শক্তি অনেক ভালোভাবে পরিমাপ করা যায়। প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ঠিক কী করছেন, ঠিক কী বলতে চাইছেন তা তিনি বলেন এবং করেন। কারণ, তার এ ক্ষমতা রয়েছে।”
এর আগে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণার কারণে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে নেতানিয়াহু বলেছিলেন, “ইতিহাস তাকে ইসরায়েলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতাকারী এবং অস্ট্রেলিয়ার ইহুদিদের পরিত্যাগকারী একজন দুর্বল রাজনীতিবিদ হিসেবে স্মরণ করবে।”
গাজা যুদ্ধের উত্তেজনার মধ্যে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ঐতিহ্যগতভাবে ঘনিষ্ঠ মিত্র অস্ট্রেলিয়া এবং ইসরায়েলের মধ্যে ক্রমশ সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। তবে গত সপ্তাহে ক্যানবেরার ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণার পর থেকে তাদের মধ্যকার বৈরিতা আরও বেড়েছে।
সোমবার অস্ট্রেলিয়া ঘোষণা করেছে, তারা ইসরায়েলের অতি-ডানপন্থী মাফদাল-ধর্মীয় জায়োনিজম পার্টির আইন প্রণেতা এবং নেতানিয়াহুর শাসক জোটের সদস্য সিমচা রথম্যানের ভিসা বাতিল করেছে। এই সিদ্ধান্তের কয়েক ঘণ্টা পরই ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিওন সার বলেন, তিনি ফিলিস্তিনের অস্ট্রেলিয়ান কূটনীতিকদের ভিসা বাতিল করেছেন। সূত্র: আল-জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/একেএ