গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনটি একটি পৌরসভা ও ১৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন চান তিনজন। তারা হলেন- উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বাবুল আহমেদ, সদস্যসচিব মাহমুদুল হাসান, জেলা বিএনপির সহসভাপতি খন্দকার ডা. জিয়াউল আহসান জিয়া। এ ছাড়া আরও অনেকের নাম শোনা যাচ্ছে। এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী চূড়ান্ত। দলটি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাজেদুর রহমান মাজেদকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তিনি জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির। জামায়াত দাওয়াতি কাজের পাশাপাশি ভোটারদের কাছে ভোট চাইছে।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক গোলাম আযম সরকার বলেন, ১৬ বছর যেসব নেতা-কর্মী জেল-জুলুম-নির্যাতনে শিকার হয়েছেন, মানুষের জন্য কাজ করবেন- দল এমন একজনকে মনোনয়ন দিলে মানুষ তাকেই ভোট দেবে।
বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী মাহমুদ ইসলাম প্রামাণিক বলেন, দুর্দিনে নেতা-কর্মীদের পাশে ছিলাম। আশা রাখছি দল আমাকে মূল্যায়ন করবে।
জামায়াতের প্রার্থী অধ্যাপক মাজেদুর রহমান মাজেদ বলেন, দল আমাকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এর আগে দুবার এমপি প্রার্থী ছিলাম। মানুষ কেন্দ্রে আসতে পারেনি। দিনের ভোট রাতে হয়েছে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছি। নির্বাচিত হলে এলাকার মানুষের খাদেম হয়ে কাজ করতে চান তিনি। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেশির ভাগ এলাকা চরাঞ্চল। ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বছরের পর বছর তিস্তার ভাঙনের শিকার হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও এ অঞ্চলে অবকাঠামোগত উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। জনপ্রতিনিধিদের ভাগ্যের পরিবর্তন হলেও জীবন বদলায়নি সাধারণ মানুষের।
এলাকার তরুণ ভোটার ইকবাল সরকার স্বজল বলেন, তরুণ ভোটারদের সুযোগ এসেছে। এবারের নির্বাচনে দল নয়, ব্যক্তিই প্রাধান্য পাবে। যোগ্য ব্যক্তিকে ভোট দেবেন তরুণরা। স্থানীয় ভোটার হায়দার আলী বলেন, আমরা মনের মতো প্রার্থী পাইনি। মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করবে, এমন প্রার্থী পেলে সবাই ভোট দিতে যাবে।
আরেক ভোটার হাফিজুল হক বলেন, বিগত তিনটি নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ ভাগাভাগির নির্বাচন করেছে। আগামী নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হলে জনগণ তাদের মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে।