অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেছেন, জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হয়েছে। দ্রুত এটি বাস্তবায়নের আদেশ জারি করে আইনগত ভিত্তি প্রদান করুন। নির্বাচন বানচালের জন্য সম্প্রতি অগ্নিসংযোগে লিপ্ত হয়েছে পতিত স্বৈরাচারের দোসররা। পরিস্থিতি ঘোলাটে করে আরেকটি এক-এগারো সৃষ্টির চক্রান্ত শুরু হয়েছে। নির্বাচন যত দেরিতে হবে, ষড়যন্ত্র তত বাড়বে। জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান করছে গণঅধিকার পরিষদ। গতকাল দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
রাশেদ খান বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পরিবেশ তৈরি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই পরিবেশ তৈরির জন্য ১৪, ১৮ ও ২৪ সালের নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা, ডিসি, এসপি, ইউএনও এবং নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। বর্তমান প্রশাসনকে পরিবর্তন না করলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশনকে পরিষ্কার করতে হবে। আওয়ামী লীগের কেউ ডামি-আমি স্বতন্ত্র কিংবা অন্যদলের হয়ে কোনোভাবেই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলও নির্বাচন করতে পারবে না। তাদেরও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে। রাশেদ খান বলেন- আমরা মনে করি, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলন যৌক্তিক। তাদের দাবি না মানলে যমুনা-সচিবালয় ঘেরাও করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র হাসান আল মামুন। উপস্থিত ছিলেন উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, অ্যাডভোকেট সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিলু খান, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম আজহার, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রিদওয়ান উল্লাহ খান।