কোচিং শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে গভীর রাতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ছাত্রী। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ মডেল প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী ও তার পরিবার।
ওই ছাত্রী অভিযোগ করে বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার নতুনহাট মহল্লার আব্দুর রহমানের ছেলে মো. হেলাল উদ্দিন নিজ বাড়িতে ‘হেলাল কোচিং সেন্টার’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। ওই কোচিং সেন্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। এরই সুবাদে গত এপ্রিল মাসে শিক্ষক হেলাল উদ্দিন তার পরিবারসহ সকল শিক্ষার্থীকে নিয়ে শিক্ষা সফরে ঢাকার ফ্যান্টাসি কিংডমে যান।
সেখানে ওই ছাত্রীর গোসল করার সময় ভেজা কাপড়ের একটি ছবি গোপনে তোলেন শিক্ষক হেলাল উদ্দিন। সম্প্রতি ওই ছাত্রীর স্বামীর ব্যবহৃত ফেসবুক মেসেঞ্জারে তিনি সেই ছবি পাঠিয়ে কু-প্রস্তাব দেন এবং বলে রাখেন, ‘শুধু নমুনা পাঠালাম। রাজি না হলে আরও ছবি আছে, ছেড়ে দেব।’
এর কয়েকদিন পর আবারও ওই শিক্ষার্থী কোচিংয়ে গেলে শিক্ষক হেলাল গোসলের সময় ধারণ করা ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে পুনরায় কু-প্রস্তাব দেন। এ নিয়ে ওই ছাত্রীর পরিবার শিক্ষক হেলাল উদ্দিনকে এসব অপকর্ম থেকে বিরত থাকতে চাপ দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার চেয়ে ওই ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে শিক্ষক হেলাল উদ্দিনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রীর বাবা-মা এবং স্বামীর পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। তারা শিক্ষক হেলাল উদ্দিনের বিচার ও শাস্তির দাবি জানান।
এর আগে মঙ্গলবার বিকালে নিজের অপকর্মের বিষয়টি গোপন করে সদর মডেল থানার ওসি মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষক হেলাল উদ্দিন।
সদর মডেল থানার ওসি মতিউর রহমান বলেন, একজন ছাত্রীর পিতা তার মেয়েকে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে এজাহার দিয়েছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে শিক্ষক হেলাল উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাকে ফাঁসাতে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল