মাদারীপুর শহরের ডিসি ব্রিজ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়েছে কমপক্ষে ২০জন। এছাড়াও পুলিশের ৫ কর্মকর্তাসহ আহত হয়েছে আরো ৩০জন।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাত ১১টার দিকে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষন করে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ৮ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যার পাভেলুর রহমান শফিক খানের সমর্থক জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সজীব সরদারের সাথে মাদারীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ওবায়দুর রহমান খালু খানের ছেলে মাথিনুর রহমান রুপস খানে সাথে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দ্বন্দ চলে আসছিল।
শুক্রবার রাত ১১টার দিকে যুবলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপ মুখোমুখি হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এসময় পুলিশ ও দুই গ্রুপের সন্ত্রাসীদের গুলিতে কলেজ ছাত্রী ও শিশুসহ কমপক্ষে ২০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন আবির, সাইফুল, রাজু, মাসুম বিল্লাহ,ফারজাহান আক্তার, মিথি বাইন,মনি আক্তার, রিয়া আক্তার,সজিব ফকির, কানন শরীফ, হাসান ফকির, সাদরী শরীফ (১১), হাসান মাতুব্বর, আন্তরা আক্তার, রবিন মৃধা, ফরিদ, রুহুল আমিন, মিরাজ, আল-আমিন। এছাড়াও এসআই শ্যামল, এসআই হাসানুজ্জামান, এএসআই আসগরসহ ৫ পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছে।
আহতদের মাদারীপুর সদর হাসপাতাল এবং বিভিন্ন ক্লিনিক ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। মাদারীপুর সদর থানার এসআই প্রদীপ কুমার বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনেছে। এঘটনায় আমাদের কয়েক সদস্য আহত হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর