চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার যুগিরহুদা গ্রামে ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি হেলালুল ইসলাম হেলালকে (৫৫) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার সকালে গ্রামের মাঠে সেচ দিতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হেলাল খাদিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ও যুগিরহুদা গ্রামের একদিল বিশ্বাসের ছেলে।
নিহতের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা পপি অভিযোগ করেন, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গ্রামের মাঠে সেচ দিতে যায় হেলাল। এসময় গ্রামের মো. মানিক, পিতা হাসিবুল, চাচা মজিবুল ও তাদের সহযোগি পিন্টু, মন্টু, রিপন, শাহীন, রুবেলসহ ৮-১০ জন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
এলাকাবাসী জানান, মানিক ও হেলাল দূর সম্পর্কের আত্মীয়। তাদের মধ্যে দাদা-নাতির সম্পর্ক রয়েছে। পূর্বের কোনো বিরোধের কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
নিহতের ছেলে ফারদিন এহসান সৌরভ বলেন, হত্যাকারী মানিক মাদকাসক্ত। তাকে প্রায়ই পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। এ নিয়ে মানিক সবসময়ই তার পিতা হেলালকে দোষারোপ করে। তারই জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. কলিমুল্লাহ বলেন, নিহতের দুই পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপানোর চিহ্ন রয়েছে। মারাত্মক জখম অবস্থায় হেলালুল ইসলাম হেলালকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে পরিবারের লোকজন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তবে কেন তাকে হত্যা করা হয়েছে, সে বিষয়ে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি।
বিডিপ্রতিদিন/ ই-জাহান