নীরব ঘাতক হেপাটাইটিস বি-ভাইরাস সম্পর্কে লক্ষ্মীপুরে সচেতনতামূলক অভিভাবক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার পুলিশ লাইন্স ড্রীল সেডে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক সালমা বেগমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন- সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) খন্দকার গোলাম শাহনেওয়াজ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ লাইন্সের রিজার্ভ ইন্সপেক্টর (আরআই) আব্দুস সহিদ মুন্সী, হেপাটাইটিস বি ভাইরাস বিষয়ে অভিজ্ঞ ডা. মো. ওমর ফারুক, চাঁদের হাসি স্বাস্থ্য সেবা প্রকল্পের লক্ষ্মীপুর শাখার সহকারী পরিচালক মো. মোরশেদ আলম প্রমুখ।
শিক্ষা, শ্রম, বন ও পরিবেশ রক্ষা সোসাইটির আয়োজনে চাঁদের হাসি স্বাস্থ্য সেবা প্রকল্পের আওতায় সভায় পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অংশ নেন।
এসময় হেপাটাইটিস বি-ভাইরাস সম্পর্কে আলোচকরা বলেন, হেপাটাইটিস বি (জন্ডিস), ভাইরাস জনিত একটি জীবন ধ্বংসকারী রোগ। এ রোগের কোনো সু-চিকিৎসা পৃথিবীতে আবিষ্কার হয়নি। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি ভুগতে পারেন লিভার সিরোসিস ও লিভার ক্যান্সারের মতো ঘাতক রোগে। যার পরিণতি নিশ্চিত অকাল মৃত্যু। হেপাটাইটিস বি ভাইরাস হতে পারে, বিভিন্ন হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, প্যাথলজী, ডেন্টাল ক্লিনিক, বিউটি পার্লার, হোটেল এবং সেলুনে ব্যবহৃত জিনিস যথাযথভাবে জীবানুমুক্ত কিংবা পরিবর্তন না করে একাধিকবার ব্যবহারের মাধ্যমে। এছাড়াও পারিবারিকভাবে বি-ভাইরাস ছড়াতে পারে।
তারা আরও বলেন, বি-ভাইরাস মানুষের শরীরে প্রবেশ করার পূর্বে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। সুস্থ শরীরকে বি-ভাইরাস থেকে মুক্ত রাখার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে ভ্যাক্সিন বা টিকা গ্রহণ করতে হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিওএইচও) এর তথ্যমতে, বিশ্বে ২ বিলিয়ন লোক হেপাটাইটিস বি-ভাইরাসে আক্রান্ত। এতে বছরে মারা যায় এক বিলিয়নেরও বেশি মানুষ।
ইপিআই সংক্রান্ত বিভিন্ন জরিপের তথ্য থেকে জানা যায়, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৮ থেকে ১০ শতাংশ লোক হেপাটাইটিস বি-ভাইরাসে আক্রান্ত এবং বছরে মারা যায় প্রায় ৩০ হাজার মানুষ।
বিডি প্রতিদিন/০৭ এপ্রিল ২০১৮/এনায়েত করিম
