ময়মনসিংহের ভালুকার ভরাডোবা ইউনিয়নে একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান নির্মাণে স্থানীয় একটি মহল কর্তৃক নানা প্রকার বাধা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে। সেই মহলটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাছে একই জমি ২বার বিক্রি করেও ক্ষান্ত হননি, উল্টো সেই শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
গত ১৬ই মার্চ নির্মানাধিন ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষের কাছে চাঁদা দাবি, সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাটের অভিযোগে প্রজেক্ট ইনচার্জ মোবারক হোসেন সোহেল বাদি হয়ে ভালুকা মডেল থানায় মামলা ( নং-১৭/১৭-০৩-১৮) দায়ের করেছিল। সেই মামলায় অভিযুক্ত আনিছুজ্জামান বাদলকে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলে প্রেরণ করলেও জামিনে এসে তিনি ফের কোম্পানীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা করছেন।
জানা যায়, উপজেলার ভরাডোবা গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিন মুক্তার দুই ছেলে আনিছুজ্জামান বাদল ও আসাদুজ্জামান কাজল প্রায় ১০ বছর পূর্বে জৈনক সাঈদ মোহাম্মদ আল আমিনের কাছে ভরাডোবা মৌজার ৩৫২ নং দাগের সকল জমি বিক্রি করেছিলেন। মালিক জমিতে কোন কাজ না করার সুবাদে তারা মালিকের কাছ থেকে মৌখিক সময় নিয়ে ওই জায়গায় বসবাস করছিলো। পরে সাঈদ মোহাম্মদ আল আমিন ২০১৫ সালে মো. হাবিবুর রায়হানের কাছে সেই জায়গা বিক্রি করে দেন।
সেই জায়গায় কাজ না করার সুবাদে তারা তখনও সেই জায়গায় বিদ্যমান ছিলো। কিন্তু কিছুদিন পরে ওই এলাকার কিছু মানুষের উসকানিতে তারা ৩৫২ দাগে আরও ২৬ শতাংশ জমি দাবি করে বসে। মালিক ঝামেলা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য সেই জমি স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে ২৬ শতাংশ জায়গা আবার কিনে। কিন্তু তারপরও তারা জায়গাটি ছাড়েনি কোর্টে মিথ্যা মামলা দায়ের করে মামলায় হারার পর কোর্টে ওই জায়গার প্রতি কার কোন দাবি নেই মর্মে আসাদুজ্জামান কাজল জবানবন্দি মামলা নিস্পত্তি করে।
কিন্তু তারপরও তারা জায়গায় ছাড়ছে না। তাদেরকে আরও টাকা দিতে হবে তা না হলে জায়গা ছাড়বেনা বলে নানা মাধ্যমে বলাবলি করেন। গত ১৬ই মার্চ আনিছুজ্জামান বাদল ও আসাদুজ্জামান কাজল ২জনের নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল ফ্যাক্টুরীতে অনধিকার প্রবেশ করে ফ্যাক্টুরীর অফিসের থাকা টেবিলের ড্রয়ার ভেঙে পাঁচ লক্ষ ছিয়াত্তর হাজার টাকা লুটপাট সহ ভাংচুর ও প্রয়োজনিয় কাগজপত্র লুটপাট করে।
পরে ফ্যাক্টরি ইনচার্জ মোবারক হোসেন সোহেলকে অফিসরুমে আটকে রেখে বাহির থেকে বলে যায় মোটা অংকের টাকা না দিলে এখানে ফ্যাক্টরি করতে দিবেনা। এ ঘটনায় ভালুকা মডেল থানায় ফ্যাক্টরি ইনচার্জ মোবারক হোসেন সোহেল বাদি হয়ে চাঁদাবাজি মামলা নং (১৭/১৭-০৩-১৮) দায়ের করে। এ মামলায় বেশ কিছুদিন আনিছুর রহমান বাদল হাজত খাটে।
হাজত থেকে বের হয়ে ফের ফ্যাক্টরির কাজে বাধা দেয় এবং ফ্যাক্টুরীর মালিক ও কর্মকর্তাদের বিরোদ্ধে ভালুকা মডেল থানায় মামলা নং(১৫/০৫-০৪-১৮ইং) দায়ের করেছে।
ভরাডোবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আলম তরফদার জানান, আমি বিষয়টা নিয়ে বেশ কয়েকবার বসেছি কিন্তু মিমাংসা করতে পারিনি।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর