রাজাকার পরিবারের সন্তান আওয়ামী লীগ নেতা এবার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে। একই সাথে মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করার হুমকিও দিচ্ছে। ঘটনাটি আজ সন্ধ্যায় পাবনার আমিনপুর থানার জাতসাকীনি ইউনিয়নের নান্দিয়ারা গ্রামে ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ হামলার নেতৃত্বে ছিল ওই ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রওশন আলী।
মুক্তিযোদ্ধাকালীন বেড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মতিউর রহমান বলেন, স্কুল পড়ুয়া ছেলেদের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সংসদ সদস্য আজিজুর রহমান আরজু একটি শালিসী বৈঠক করেন। বৈঠক শেষ হওয়ার আগেই জাতসাকিনী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ রাজাকারের আপন ভাতিজা ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রওশন আলী ও তার বড় ছেলে আল আমিনের নেতৃত্বে দলবলসহ আমার বাড়িতে হামলা করে। এসময় তারা বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর করে এবং রাম দা দিয়ে বাড়ির বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে চলে যায়। এসময় তারা আমাকে জবাই করে হত্যা করারও হুমকি দিয়ে যায়।তাৎক্ষণিক পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
জাতসাকিনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এসএম ফজলুল হক বলেন, এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। ছোট ছেলেদের একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে এ ধরনের কর্মকান্ড কোন ভাবেই সর্মথন করা যায় না। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য সমাধানের চেষ্টা করছিল, তারপরেও কেন এমন ঘটনা ঘটছে আমার জানা নেই। তবে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এই ঘটনার নিন্দা করি এবং প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবি জানান তিনি।
জাতসাকীনি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রওশন আলী ওরফে বিড়ি রওশন বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এ ধরনের ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই। কে বা কারা তার বাড়িতে হামলা করেছে আমার জানা নেই।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন মুহূর্তে আবারও ওই কমান্ডারের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটতে পারে।
এ বিষয়ে সুজানগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি, আমাদের পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে গেছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের বাড়িতে হামলাকারী যারাই হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার